• ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচবিবিতে প্রিয়জনের সমাধির পাশে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিরবে প্রার্থনা করছেন স্বজনেরা

সারি সারি সমাধিতে জলছে মোমবাতি সমগ্র কবরস্থানে আলোকিত প্রিয়জনের সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে নীরবে প্রার্থনা করছেন স্বজনেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত নভেম্বর ৪, ২০২৫, ১৩:০৩ অপরাহ্ণ
পাঁচবিবিতে প্রিয়জনের সমাধির পাশে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিরবে প্রার্থনা করছেন স্বজনেরা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

(৩ নভেম্বর) সোমবার সন্ধ্যায় এমন দৃশ্য দেখা গেলো জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা আটাপুর ইউনিয়নের পাথরঘাটা ক্যাথলিক মিশনের কবরস্থানে। শুধু কবরস্থানে নয় তাদের ঘরবাড়িগুলোতেও জ¦লছে মোমবাতি।
পাথরঘাটা ক্যাথলিক মিশনের গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা শেষে সারিবদ্ধ ভাবে হেটে হেটে কবরস্থানে আসেন। এরপর খ্রিষ্টানধর্মাবলম্বীরা প্রিয়জনের সমাধিতে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে পবিত্র জল ছিটান,মোমবাতি জালিয়ে দেয়। কবরস্থানে প্রার্থনা করেন।
মৃত আত্মীয় স্বজনের স্বরণে সোমবার সন্ধ্যা ৬ থেকেই উপজেলার আটাপুর ও কুসুম্বা ইউনিয়নের তিনটি গ্রামগুলোতে ক্যাথলিকের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের আত্মীয়স্বজনের কবরগুলোতে মোমবাজি প্রজ্জলন করে।
বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দিতে আসা লোকজন জানান, মৃত স্বজনদের স্মরণে খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতিবছর এই দিনে গির্জা ও সমাধিতে জড়ো হয়। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রিয়জনের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে প্রার্থনা করেন তারা।
বিকেলে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। জ্বালানো হয় আগরবাতি। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সন্ধ্যার আঁধারে কবরগুলো স্বজনদের জ্বালানো প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের ফাঁকে ফাঁকে যিশুর প্রতিকৃতির সামনেও শ্রদ্ধার প্রদীপ জ্বালানো হয়। খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস, এই দিনে প্রয়াতদের জন্য প্রার্থনা করলে তাদের আত্মা শান্তি পায়। সে জন্য মোমবাতির আলো জ্বালানো হয়।
পাথরঘাটা এলাকার জয়িতা কুজুর বলেন, কয়েক মাস আগে আমার বাবা মারা গেছে। আজকে বাবার কবরে মোমবাতি প্রজ¦লন করতে মা-বোন ও ভাইকে নিয়ে কবরস্থানে এসেছি। বাবার আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেছি। খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষেরা জানান,আমাদের কবরস্থানটি অরক্ষিত। সরকারী ভাবে যদি আমাদের কবরস্থানটি উচু করে বাউন্ডারি দিয়ে দিতো তাহলে খুব ভালো হতো।

আটাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ,স,ম সামছুল আরেফিন চৌধুরী আবু জানান, মিশন থেকে কবরস্থানটি সংস্কারের জন্য কোন আবেদন করেনি। আগামীতে যে সরকারী বরাদ্দ আসবে সেই বরাদ্দ দিয়ে কবরস্থানটি বাউন্ডারি করে দেওয়া হবে।