এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরুতেই ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ফলাফল যতটা না অবাক করেছে, তার চেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে ব্যাটিংয়ের শুরুর বিপর্যয়। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটন দাস স্পষ্টভাবেই বলেন, ‘পাওয়ারপ্লেতেই আমরা ম্যাচ হেরে গেছি মনে হয়।’
আসরের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ছন্নছাড়া বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান না তুলেই হারায় দুই উইকেট। পাওয়ারপ্লের ছয় ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ মাত্র ৩০ রান। শেষ পর্যন্ত টেনেটুনে ১৩৯ রানের পুঁজি দাঁড় করালেও লঙ্কানদের বিপক্ষে তা যথেষ্ট হয়নি।
লিটন দাস বলেন, ‘উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য অনেক ভালো ছিল। ১৭০–১৮০ রান করতে পারলে সুযোগ ছিল। ভালো উইকেটে ১৪০ রান করলে আপনাকে ভালো বোলিং ও ফিল্ডিং করতে হবে। যা আমরা করতে পারিনি।’
ব্যাটিং ইউনিটের ব্যর্থতা স্বীকার করে জাকের আলি জানান, ‘ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করিনি। ওরাও ভালো বল করেছে। পাওয়ারপ্লেতে এত উইকেট হারালে এমন উইকেটে ভালো করা কঠিন। ১৬০–১৭০ রান ফাইটিং স্কোর হতো। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। এখানেই ব্যবধান তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আবহাওয়া কিছুটা গরম ছিল, মাঠের এক পাশে বাতাস ছিল। দুই পাশে মারা যায় না। বেশি সিঙ্গেল খেলতে গেলে টায়ার্ডনেস আসে। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি। ওরা দারুণ বোলিং করেছে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করতে পারিনি।’
দলীয় ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধেও নেন জাকের। তার ভাষায়, ‘আমার কাছে মনে হয় যদি প্রপার প্ল্যান আর টাইমিংয়ে মনোযোগ দিতাম তাহলে ভালো হতো। আমি আর পাটোয়ারী ভালো খেলা মানে এই না আমরা অসাধারণ। আমরা সবাই মিলে বাজে খেলেছি, সবাই মিলে হেরেছি। সবাই মিলে আমাদের ভালো করতে হবে।’
বাংলাদেশের ইনিংসে অস্থিরতা শুরু থেকেই। দলীয় রান শূন্যতেই দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। ৯ ওভার ৫ বল পর্যন্ত ৫৩ রানে পাঁচ উইকেট যায়। শামীম পাটোয়ারী (৪২) ও জাকের আলি (৪১) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও বড় সংগ্রহ আসেনি।
অন্যদিকে লঙ্কান ব্যাটাররা ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। পাথুম নিশাঙ্কা ৫০ ও কামিল মিশারা ৪৬ রান করে দলকে সহজ জয় এনে দেন। ৩২ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।
এই হারে বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠার পথ কঠিন হয়ে গেছে। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া বিকল্প নেই টাইগারদের। লিটন দাস বলেন, ‘সেরকমই (ফাইনালের মতো), দেখা যাক।’
গ্যালারিতে উপস্থিত সমর্থকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘সব সাপোর্টারদের ধন্যবাদ। দেশের বাইরে খেললেই তারা সমর্থন দিতে চলে আসেন। আশা করব তারা আবার এসে আমাদের সাপোর্ট করবেন।’