• ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই: তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১২:০৯ অপরাহ্ণ
জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই: তারেক রহমান
সংবাদটি শেয়ার করুন....

দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করাকে অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তারেক রহমান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বার্তায় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জনগণের আস্থা পুনর্গঠনই তার লক্ষ্য।

তারেক রহমান লেখেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে বিএনপি তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে; গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামো আরও মজবুত করছে। এই সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৭ হাজারের বেশি দলের সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের কারণে পদচ্যুত বা বহিষ্কৃত হয়েছেন অনেকে। বহুমুখী অপপ্রচারের মধ্যেও এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, তবে বাস্তবতার কারণে অপরিহার্য ছিল। শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং এটি শক্তির প্রতীক। নিজেদের সদস্যদের দায়বদ্ধ করে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে, তারা সততার ব্যাপারে আন্তরিক এবং ক্ষমতাসীনদের কাছে যেসব মানদণ্ড দাবি করে, নিজেদেরও সেই মানদণ্ডে দাঁড়ায়।

তারেক রহমান বলেন, এভাবেই জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই—বিশেষত তরুণদের, যারা রাজনীতিকে শুধুই ক্ষমতার খেলা হিসেবে নয়; বরং সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে গড়ে ওঠা একটি মহৎ ক্ষেত্র হিসেবে দেখতে চায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি সব সময়ই নিজেকে আধুনিকায়ন করেছে। জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে নীতিমালা গড়ে উঠেছে। অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। বিএনপি চায়, তাদের পরিচয় হোক সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে, বিভাজন বা সুবিধাভোগের নয়।

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো নতুনভাবে চিন্তা করে মোকাবিলা করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনি এবং জনগণকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন; বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই করে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাদের সেই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখেই বিএনপি এগোচ্ছে, যেখানে সততা, তরুণ নেতৃত্ব ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা রাষ্ট্রগঠনের ভিত্তি হবে।

নিজ ঐতিহ্যকে ধারণ করে তিনি বলেন, বিএনপি প্রাধান্য দিচ্ছে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, ভবিষ্যৎমুখী এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার পথে। তরুণরা চায় বাস্তব সুযোগ, ফাঁকা বুলি নয়; জনগণ চায় স্থিতিশীলতা, বিশৃঙ্খলা নয়। বিশ্ব চায়, বাংলাদেশ হোক বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।

তিনি আরও যোগ করেন, নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে—ঐক্যবদ্ধ, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকুন। একসঙ্গে প্রমাণ করব, বাংলাদেশে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্থিতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং গণআকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ।