অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে সারাদেশে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে মরিচ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক মাসে শুধুমাত্র বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এক হাজার ৫২১ মেট্রিক টন মরিচ আমদানি হয়েছে। তবে বাজারে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও ৮০ টাকায় আমদানি করা মরিচ খুচরা বাজারে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
বাজারে খুচরা পর্যায়ে দেখা যায়, ১৫ দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় পৌঁছেছে। আমদানিকারকের নথি অনুযায়ী, ভারত থেকে প্রতি কেজি মরিচ আমদানি করলে সব খরচ মিলিয়ে বেনাপোল বন্দরে দাম সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
বেনাপোলের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক হাফিজ আহমেদ জানান, মরিচের বড় অংশ ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে আনা হচ্ছে। খরচ বাদে তারা কম লাভেই বিক্রি করছেন, কিন্তু খুচরা বাজারে দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, প্রতি কেজি মরিচ আমদানিতে সরকারকে ৩৬ টাকা শুল্ক দিতে হয়। শুল্ক কমানো হলে আমদানি ব্যয়ও কমবে এবং বাজারে দামও হ্রাস পাবে, যাতে ক্রেতারা সস্তায় মরিচ কিনতে পারেন।
বেনাপোল বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা আনন্দ বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক আনন্দ জানান, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। সাধারণত আমদানি করা মরিচগুলো দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরে যায়। তবে আমদানি বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় বাজারে দামও কমবে।
ক্রেতা আবির ইসলাম বলেন, কাঁচা মরিচের দাম অত্যধিক। বাজারে সঠিক তদারকি না থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংরক্ষণ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, চাহিদা বৃদ্ধি পেলে ভারত থেকে মরিচ আমদানি বেড়ে যায়। ট্রাক বন্দরে প্রবেশের পর নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়, যাতে আমদানিকারকরা দ্রুত তাদের মাল গ্রহণ করতে পারেন।