• ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-১৮ এস এম জাহাঙ্গীরের বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
ঢাকা-১৮ এস এম জাহাঙ্গীরের বিকল্প নেই
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ঢাকা-১৮ আসনে আবারও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর। পুরো উত্তরা জুড়ে স্থানীয় পর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতাকর্মীদের প্রতি আন্তরিকতার কারণে বিএনপির ঘাঁটিকে তিনি সচল রেখেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এস এম জাহাঙ্গীর শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নয়, এলাকার সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে সব সময় পাশে থেকেছেন। ফ্যাসিস হাসিনার শাসনামলে মামলায় জড়িত কর্মীদের আইনি সহায়তা, পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া এবং দুর্দিনে সাহস জোগানোর মধ্য দিয়ে তিনি নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন। এ কারণেই তৃণমূল কর্মীরা মনে করেন—ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির বিকল্প নেতৃত্ব বলতে এস এম জাহাঙ্গীরকেই বোঝানো যায়।

একজন স্থানীয় বিএনপি নেতা বলেন, দল যখন চাপে ছিল, তখন এস এম জাহাঙ্গীর ভাই আমাদের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। রাজধানীর প্রবেশপথ গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে অন্য কেউ যদি প্রার্থী হন, নেতা কর্মীরা তেমনভাবে মাঠে নামবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি যদি ঢাকা-১৮ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে চায়, তবে এস এম জাহাঙ্গীরকে সামনে আনা ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি মাঠ পর্যায়ে যেমন গ্রহণযোগ্য, তেমনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও আস্থাভাজন।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’-এর জয় নিশ্চিত করতে হলে এস এম জাহাঙ্গীরই হতে পারেন একমাত্র ভরসা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনের যোগ্য নেতৃত্বে এস এম জাহাঙ্গীরের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অন্যান্য নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, নিরপেক্ষ ভোট হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে যে কোনো দলের প্রার্থীর বিপরীতে হাজার হাজার ভোট বেশি পেয়ে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিনিয়র নেতা বলেন, শুধু টাকা থাকলেই নেতা হওয়া যায় না। জনপ্রিয়তা অর্জন করতে টাকা লাগে না, লাগে যোগ্যতা, মেধা, পাশাপাশি কর্মীদের ভালোবাসার মতো সুন্দর মন। তারা আরও বলেন, গত ১৭ বছরের রাজনীতিতে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রগামী, শিক্ষিত, মার্জিত জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব এই নেতার ঝুলিতে রয়েছে সব গুণ। তার কণ্ঠে বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের নামে দেওয়া স্লোগান মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করে। তিনি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মতো বিপ্লবী স্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে উৎসাহ দিয়েছেন। রাজনীতিকে তিনি সেবা হিসেবে নিয়েছেন, কখনো বাণিজ্যিকভাবে দেখেননি। নেতা কর্মীরা বলেন, তার মতো পরিশ্রমী ও যোগ্য নেতা উত্তরাতে বিরল।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক, যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরের যোগ্য নেতৃত্বে দলীয় নেতা কর্মীরা এখন অনেকটাই সু-সংগঠিত। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা। গত কয়েক মাস ধরে এস এম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা দাবি আদায়ের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি করেছে। তিনি ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি থানা, সেক্টর ও ওয়ার্ডে তারেক রহমানের নির্দেশে ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচার সচেতনতামূলক লিফলেট এবং ৩১ দফা দাবির লিফট বিতরণের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের হৃদয়ে যোগ্য নেতা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন।

জানা যায়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি তার কর্মী বাহিনী নিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনের বিমানবন্দর মহাসড়কে অবস্থান করেছেন। দলকে ভালোবাসার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিমানবন্দর মহাসড়ক, হাউজ বিল্ডিং, বিএনএস সেন্টার ও আজমপুরে শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তার নেতৃত্বে আন্দোলন বেগবান হওয়ায় পরবর্তীতে উত্তরার আন্দোলনকে দুর্বল করতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। এ সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটও করে।

৫ আগস্টের পর তিনি জেল থেকে মুক্তি পান। জেল থেকে বের হয়েই কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেন। তিনি প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে নিহতদের পরিবারের লোকজনকে সমবেদনা জানান। পাশাপাশি নিজের সাধ্য অনুযায়ী সহায়তাও করেন।

এ সময় ঢাকা মহানগর বিএনপির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এস এম জাহাঙ্গীর একজন নীতিবান ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ। তিনি কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেন না। নীতি ও আদর্শে অবিচল থেকে তিনি নেতা কর্মীদের মনে আদর্শিক নেতা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন।

বৃহত্তর উত্তরার স্থানীয় বিএনপির সমর্থকরা বলেন, জাহাঙ্গীর একজন কর্মীবান্ধব নেতা। যেখানে যান, সেখানেই তার সঙ্গে স্থানীয় শত শত নেতাকর্মীকে দেখা যায়। অনেকে ধারণা করছেন, তার যোগ্য নেতৃত্বে ভবিষ্যতে ঢাকার প্রবেশপথ গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-১৮ আসনকে সুন্দরভাবে ঢেলে সাজিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।

তারা আরও বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির দলীয় কোন্দল বলতে কিছু নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ। তারা আশা করছেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সমর্থন পেলে তিনি ঢাকা-১৮ আসনকে মাদকমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত ও ছিনতাইমুক্ত করে তুলবেন।

ভোর/রিপন/আইটি