ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। শিক্ষার্থীরা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোট শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সকাল ৬টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ‘বিবেচনা’ করার আহ্বান জানান বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আল্লাহ জানেন, আমার নিয়ত সৎ ছিল, সৎ আছে এবং সৎ থাকবে। আমি পরিশ্রম করেছি, সর্বোচ্চ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছি। এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার প্রতিটি ভাই-বোন জানে। তারা বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন। সর্বোপরি, আল্লাহ সহায়।’

এদিকে ভোট চলাকালে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগও তুলেছেন আব্দুল কাদের।
সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ভালো আছে। স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মনে হচ্ছে। তবে কিছু অসঙ্গতিও চোখে পড়েছে। কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ১০০ গজের মধ্যে স্লিপ বা টোকেন বিতরণ করার নিয়ম নেই, তবুও এমনটা ঘটেছে। তবে নির্বাচন কমিশন সঠিক থাকলে ভালো কিছু আশা করা যায়।’

এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, যা ডাকসুর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তাদের মধ্যে নারী প্রার্থী রয়েছেন ৬২ জন। অন্যদিকে, ১৮টি হলে ১৩টি পদের জন্য লড়ছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী।
এ নির্বাচনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও ছাত্র অধিকার পরিষদ আলাদা প্যানেল দিয়েছে। বামপন্থি সংগঠন দুটি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এছাড়া পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে স্বতন্ত্র প্যানেল রয়েছে প্রায় ১০টি।
মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২০ হাজার ৮৭৩ এবং ছাত্রী ১৮ হাজার ৯০২ জন। আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটাররা ডাকসু ও হল সংসদের মোট ৪১টি পদে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
ভোট গণনা হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) মেশিনে। প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনে ফল প্রদর্শিত হবে এবং সবশেষে সিনেট ভবন মিলনায়তনে সার্বিক ফল ঘোষণা করা হবে। নিরাপত্তা জোরদারে ৮টি প্রবেশপথে চৌকি বসানো হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ও আশপাশে মোবাইল প্যাট্রল, ডগ স্কোয়াড, বিশেষায়িত টিম, বোম এক্সপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, ডিবি (সাদা পোশাকে), সিসিটিভি মনিটরিং সেল ও স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।