রাত পোহালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট সাংবাদিকদের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এসব কার্ডে সাংবাদিকদের নাম, পদবি, প্রতিষ্ঠানের নামসহ নানা ভুল পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে সমালোচনার ঝড়।

কার্ডগুলোতে স্বাক্ষর আছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর চিফ রিটার্নিং অফিসারের। সেখানেই ধরা পড়ে একের পর এক ভুল। যেমন— ডেইলি সান-এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শেখ নাসির উদ্দিন-এর নাম লেখা হয়েছে শেখ নাসির উদ্দির। তাঁর পদবিতেও ভুল পাওয়া গেছে। Staff Correspondent এর প্রথম অংশে লেখা হয়েছে Stff, অর্থাৎ a অক্ষরটি নেই। এখন টিভির স্টাফ রিপোর্টার মো. আজহারুজ্জামান-এর পদবিতে লেখা হয়েছে ‘স্যার রিপোর্টার’।

বাসসের Apprentice Reporter মো. আজম ইসলামের কর্মস্থলের নাম Bangladesh Sangbad Sangstha হয়ে গেছে Sanghtha। সময়ের আলো পত্রিকার রিপোর্টার জাহেদুল ইসলামের নাম লেখা হয়েছে জাহেদুই ইসলাম। অপরদিকে চ্যানেল আইয়ের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট মো. হারুন অর রশিদের নাম লেখা হয়েছে মো: হারুর-অর-রশিদ।

এ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখিয়েছেন। কালবেলার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার অন্তু মুজাহিদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রিয় চিফ রিটার্নিং অফিসার, আমার ছবিটিতে এভাবে অস্ত্রোপচার না চালালেও পারতেন। একান্ত প্রয়োজন হলে সমানভাবে কাটাছেঁড়া করা যেত না? নোটিশে জানালে আমরা স্ট্যাম্প সাইজের ছবি সরবরাহ করতাম। অনেকের নামের বানান ভুল, ভুলভাল পদবি এমনকি হাতের লেখার বেহাল দশা। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে কি দক্ষ লোকবলের সংকট এতটাই প্রকট? যে সাংবাদিকদের প্রেসকার্ডও সঠিকভাবে সরবরাহ করা গেল না!’

চ্যানেল টোয়েন্টিফোর অনলাইনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন জানান, ‘আমার নামের বানান লিখেছে বুরহান উদ্দিন। এটা ছোট ভুল। কিন্তু আমার পোর্টালের নাম লিখেছে “২৪ টিভি”। ডাকসু নির্বাচনের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এমন ভুল কর্তৃপক্ষের জন্য বিব্রতকর।’

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং অফিসার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘প্রায় ১২শ থেকে ১৩শ আইডি কার্ডের আবেদন জমা পড়েছিল। এত বিপুল আবেদন যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে বিষয়টি পিআরও সেকশনে পাঠানো হয়। সেখানে সাধারণ কর্মচারীরা বানান ভুল করেছে। তবে অফিসে যোগাযোগ করলে এসব ভুল সংশোধন করা হবে। ভবিষ্যতে যেন আর এ ধরনের ভুল না হয়, সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’