দীর্ঘ ছয় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে সকাল থেকেই ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনায় ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ভোট শুরুর পর আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ কিছু অভিযোগ উঠলেও নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু থাকায় ভোটগ্রহণ উৎসবমুখরভাবে চলছে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের ছয়টি কেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত গড়ে ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এছাড়া সব কেন্দ্রে প্রত্যাশিত হারে ভোট পড়ছে।
টিএসসিতে অবস্থিত রোকেয়া হল কেন্দ্রে সকাল থেকেই নারী শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েছে। কেন্দ্রপ্রধান অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা জানিয়েছেন, প্রথম এক ঘণ্টায় প্রায় ৭৬০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এখানে ১৯টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে, প্রতিটি বুথে গড়ে ৪০ জন ভোট দিয়েছেন।
প্রার্থীরা ভোটের পরিবেশে সন্তুষ্ট। ছাত্রদল মনোনীত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম বলেছেন, ভোটের পরিস্থিতি ভালো এবং শিক্ষার্থীরা আগ্রহের সঙ্গে ভোট দিচ্ছেন। স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা জানিয়েছেন, তারা ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
কিছু কেন্দ্রে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে প্রার্থীদের প্রচারণা নিষিদ্ধ হলেও শুরুর পর থেকে কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থীরা লিফলেট বিতরণ ও প্যানেলের তালিকা দেখাচ্ছেন, যা ভোটারদের ভোগান্তি সৃষ্টি করছে।
হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটি কাম্য নয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সাইফুদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন, প্রার্থীরা কেন্দ্রের ১০০ মিটার দূরে থাকতে হবে, অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডাকসু নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, ভোটগ্রহণ সন্তোষজনক হলেও কিছু অসঙ্গতি এখনও বিদ্যমান। তিনি প্রশাসনের নিরবতার বিষয়টি শঙ্কার কারণ মনে করছেন।