রাজধানীর খুচরা বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। বর্তমানে এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় এবং ডজন ১৫০ টাকায়। সবজির বাজারেও একই অবস্থা—কাঁচা পেঁপে ছাড়া ৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, আর সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বসুন্ধরার জগন্নাথপুর বাজার ও জোয়ার সাহারা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে—টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।
বিক্রেতাদের দাবি, বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় চাষিরা ক্ষেত থেকে সবজি তুলতে পারছেন না, যার ফলে বাজারে সরবরাহ কম।
বাজারে প্রতি কেজি পটল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শসা, ঝিঙ্গা ও ধুন্দল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও মুলা পাওয়া যাচ্ছে তুলনামূলক বেশি দামে। একেকটি ফুলকপি ১২০ টাকা এবং প্রতি কেজি মুলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
এছাড়া কাঁচা মরিচের দামও বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। বাজারে চালকুমড়া ৭০ টাকা, লাউ ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন মানভেদে ১০০ থেকে ১৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা এবং ঢ্যাঁড়স ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সবজির পাশাপাশি শাকসবজির দামও বাড়তি। এক আঁটি পুঁইশাক ৪০ টাকা, ডাঁটাশাক ৩০ টাকা এবং কচু ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা, আলু মানভেদে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। এক হালি লেবুর দাম আকারভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা জানান, ‘এখন বৃষ্টি হচ্ছে, উৎপাদন কম। তাই দাম বেশি। শীত আসলে দাম আবার কমে যাবে।’
ডিমের দাম প্রসঙ্গে এক বিক্রেতা সাইফুল বলেন, ‘আড়তদাররা বেশি দাম নিলে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।’
কেনাকাটা করতে আসা এক বেসরকারি চাকরিজীবী জানান, ‘আজ পটল আর করলা কিনলাম। দাম বেশিই মনে হলো। বিক্রেতারা বৃষ্টি–বন্যার অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন।’