
ম্যাচের তখন ১০ মিনিটও হয়নি, লিওনেল মেসি মেলে ধরলেন তার জাদুর ঝাঁপি। মাঝমাঠের একটু ওপরে বল পেয়ে ফাঁকা জায়গা কাজে লাগিয়ে দারুণ গতিতে এগিয়ে যান তিনি। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের মুখে পৌঁছে প্রতিপক্ষের চারজনকে ঘিরে থাকা অবস্থায়ও ফাঁক খুঁজে পান। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে আচমকা এক গড়ানো শটে গোলকিপারকে অসহায় করে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
এটি ছিল তার ঝলকের শুরু মাত্র। এরপর তিনি আরেকটি গোল করেন, দুটি গোলে সহায়তা করেন। ন্যাশভিল এসসিকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে মেজর লিগ সকারের কনফারেন্স সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় ইন্টার মায়ামি। ‘বেস্ট অব থ্রি’ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতেছিল মায়ামি, দ্বিতীয়টিতে জয় পেয়েছিল ন্যাশভিল।
রবিবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোরে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি ছিল দুই দলের ভাগ্য নির্ধারণী লড়াই, যা একাই নিয়ন্ত্রণে নেন মেসি। প্রথমবারের মতো কনফারেন্স সেমিফাইনালে ওঠার স্বাদ পেল ইন্টার মায়ামি। এর আগে তারা সবসময়ই বাদ পড়েছিল প্লে-অফের প্রথম রাউন্ড থেকে। এবারের প্লে-অফে তিন ম্যাচে মেসি গোল করেছেন পাঁচটি, সহায়তা করেছেন তিনটিতে — অর্থাৎ মায়ামির আট গোলেই তার সরাসরি অবদান রয়েছে।
ন্যাশভিল এসসি আবারও পুড়ল মেসির তেজে। এই দলের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে তার গোল এখন ১৫টি। মায়ামির মাঠে দশম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর ৩৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল করেন স্বদেশি উইঙ্গার তাদেও আইয়েন্দে। এর প্রথমটিতে মেসির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ, আর দ্বিতীয়টিতে সরাসরি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। এই অ্যাসিস্টের মাধ্যমে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ৪০০ অ্যাসিস্টের মাইলফলক স্পর্শ করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি লুইস সুয়ারেস, তবে তার অনুপস্থিতি কেউ টের পায়নি। ইস্টার্ন কনফারেন্স সেমিফাইনালে আগামী ২২ নভেম্বর মায়ামির প্রতিপক্ষ হবে সিনসিনাটি এফসি। এটি এক ম্যাচের লড়াই, যেখানে মেসির সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ — কারণ সিনসিনাটির বিপক্ষে এখনও কোনো গোল করতে পারেননি তিনি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এম.জি.আর.নাছির মজুমদার, সম্পাদক : এস এম রফিকুল ইসলাম, যোগাযোগ ঠিকানা: সেঞ্চুরি সেন্টার: খ-২২৫, প্রগতি সরণি, মেরুল,বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।, ফোন নং : +৮৮-০২-৫৫০৫৫০৪৭ | মোবাইল নং: ০১৭১৬৩৭১২৮৬
www: dailybhor.com
© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোর