
রাজধানীর পল্লবী থানা হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনি নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ডিত এএসআই মো. রাশেদুল হাসানকে ১০ বছর দণ্ড ও সোর্স রাসেলকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত রবিবার (১০ আগস্ট) থেকে এ রায় ঘোষণা শুরু করেছিলেন হাইকোর্ট।
এ মামলায় আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মো. আবদুর রাজ্জাক ও নাজমুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার।
মামলার বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার জানান, এসআই জাহিদের যাবজ্জীবন দণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বহাল রেখেছেন। এএসআই রাশেদুল হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরিবর্তে ১০ বছরের দণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন। রাসেলকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন।
এ মামলায় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশের সাবেক তিন সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— পল্লবী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রাশেদুল হাসান, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু।
এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই তিন আসামির প্রত্যেকে ভুক্তভোগী পরিবারকে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।
এই মামলায় পুলিশের সোর্স সুমন ও রাসেলকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এম.জি.আর.নাছির মজুমদার, সম্পাদক : এস এম রফিকুল ইসলাম, যোগাযোগ ঠিকানা: সেঞ্চুরি সেন্টার: খ-২২৫, প্রগতি সরণি, মেরুল,বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।, ফোন নং : +৮৮-০২-৫৫০৫৫০৪৭ | মোবাইল নং: ০১৭১৬৩৭১২৮৬
www: dailybhor.com
© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোর