বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না থাকায় পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ন্যূনতম দর বা নগদ মার্জিন তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে এখন থেকে যেকোনো আমদানিকারক তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো পরিমাণ পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারবেন। ২০২৫-২৮ মেয়াদের জন্য তৈরি করা নতুন আমদানি নীতি আদেশে এ নির্দেশনা রাখা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নতুন আমদানি নীতি আদেশের খসড়া প্রস্তুত করেছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান খসড়ার মূল বিষয়গুলো বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের কাছে উপস্থাপন করবেন। পরে উপদেষ্টা পর্যবেক্ষণ দিলে তা যুক্ত করে খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আমদানি নীতি আদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে। নীতি আদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে, এলসির পরিমাণ ও ন্যূনতম দর-সম্পর্কিত বাধ্যবাধকতা আর থাকছে না।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশের ২০২১-২৪ মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের জুনে। নতুন নীতি প্রণয়নের কাজ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে।