
কাজের প্রয়োজনে আজকাল অনেক মানুষ দিনের বড় একটা অংশ চেয়ারে বসে কাটান। দীর্ঘ সময় ডেস্কের সামনে কম্পিউটার স্ক্রিনে চোখ আটকে থাকাই চাকুরিজীবীদের জীবনের বড় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের জীবনযাত্রা শরীরে নানা জটিলতা তৈরি করছে। এর মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো পা ও গোড়ালি ফুলে যাওয়া।
পা ফোলাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় এডিমা। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে পায়ে রক্ত চলাচল কমে যায় এবং মাধ্যাকর্ষণের কারণে শরীরের নিচের দিকে অতিরিক্ত তরল জমে থাকে। ফলে পায়ের টিস্যু ফুলে ওঠে। যদিও স্বল্প সময়ে তেমন নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায় না, অনেকেই এটিকে সাধারণ ক্লান্তিজনিত সমস্যা ভেবে অবহেলা করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—ঘন ঘন পা ফোলা হতে পারে ভ্যারিকোজ ভেইন, ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস কিংবা হৃদরোগের মতো গুরুতর অসুস্থতার প্রাথমিক লক্ষণ।
অফিসে ব্যস্ত থাকলেও অন্তত ৩০ মিনিট পর চেয়ার থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটুন বা দাঁড়িয়ে স্ট্রেচিং করুন। এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
ডেস্কের নিচে ছোট ফুটরেস্ট ব্যবহার করুন অথবা বাড়িতে কাজের সময় পায়ের নিচে বালিশ রাখুন। এতে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে থাকার প্রবণতা কমে যাবে।
ডিহাইড্রেশন হলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়ে, যা ফোলাভাব বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। বিশেষ করে গরমকালে বেশি পানি পান করা জরুরি।
চেয়ারে বসে গোড়ালি ঘোরানো, আঙুলের ওপর ভর দিয়ে পা ওঠানো-নামানো বা কাফ মাসল স্ট্রেচিং করলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়।
অতিরিক্ত লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড ও চিপস কমিয়ে তাজা ফলমূল ও সবজি খাওয়া উচিত।
যদি পায়ের ফোলা ভাবের সঙ্গে ব্যথা, ত্বকের লালচেভাব বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এম.জি.আর.নাছির মজুমদার, সম্পাদক : এস এম রফিকুল ইসলাম, যোগাযোগ ঠিকানা: সেঞ্চুরি সেন্টার: খ-২২৫, প্রগতি সরণি, মেরুল,বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।, ফোন নং : +৮৮-০২-৫৫০৫৫০৪৭ | মোবাইল নং: ০১৭১৬৩৭১২৮৬
www: dailybhor.com
© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোর