• ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিউইয়র্কে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের সাক্ষাৎ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিউইয়র্কে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের সাক্ষাৎ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বন্দুক হামলায় নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দিদারুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

জানা যায়, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে নিউইয়র্কের একটি হোটেলে দিদারুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় নিহত কর্মকর্তার প্রতি সম্মান জানিয়ে পরিবারের হাতে একটি ক্রেস্ট প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা।

এতে উপস্থিত ছিলেন দিদারুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, দুই ছেলে আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাইয়ের ছেলে আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম ও চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন। এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পত্রিকায় ঘটনাটি দেখে হতবাক হয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে এমন হলো। টিভিতে দেখেছি নিউইয়র্কে তার শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষ সমবেদনা জানিয়েছেন। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় তিনি সিক্ত হয়েছেন। তাই নিউইয়র্কে এসে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাটা আমাদের জন্য জরুরি মনে হয়েছে।’

পরিবারের সদস্যরা জানান, দিদারুল ইসলাম নিউইয়র্ক পুলিশের একজন প্রশংসিত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন এবং ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্কটে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার দুটি সন্তান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউ এলাকায় বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাণ হারান দিদারুল ইসলাম। ওইদিন এক তরুণ বহুতল করপোরেট ভবনে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পরে আত্মহত্যা করেন। হামলাকারীকে আটকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন দিদারুল। পরিবারের দাবি অনুযায়ী, তার মরদেহে আট থেকে দশটি বুলেটের আঘাতের চিহ্ন ছিল।