• ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা সম্মেলনে আজ যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত আগস্ট ২৫, ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ
রোহিঙ্গা সম্মেলনে আজ যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় টেকসই সমাধানের পথ খুঁজতে কক্সবাজারে গতকাল (রোববার, ২৪ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়লগ’ নামে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন।

আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত উখিয়ার ইনানীতে হোটেল বে-ওয়াচ মিলনায়তনে ‘টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ নামে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে। প্রথম দিনে সরকার কঠোর বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, আর কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

তিন দিনের সম্মেলনে সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালের অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এই সম্মেলন ঘিরে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের আশা রয়েছে বাংলাদেশের।

প্রায় আট বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটে বাংলাদেশে। দিনে দিনে সংখ্যার হিসেবে তা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। ১৮ কোটির বেশি জনসংখ্যার এ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনও তাই জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কক্সবাজারে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন।

গতকাল রোববার প্রথম দিনের সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। তবে মূল আকর্ষণ ছিল রোহিঙ্গাদের প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি।

রোহিঙ্গারা জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে এক হয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন তাদের প্রত্যাবাসনে যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়। বিভিন্ন দেশগুলোর পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তারা।

রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা শুধু শারীরিকভাবে মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চাই না। আমরা আমাদের অধিকারসহ ফিরে যেতে চাই।’

এসময় বিভিন্ন দেশে থাকা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ দিয়ে সংকট সমাধানের দাবি জানান।

অন্যদিকে ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সরকার আন্তরিক। তবে নতুন করে আর কাউকে সীমান্ত পার হয়ে দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রান্তে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে। বাংলাদেশে যারা সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন, তারা সতর্ক অবস্থানে আছেন যেন নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা না আসে। এটি ইতিমধ্যেই দেশের জন্য একটি বড় সংকট।’