• ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রধান উপদেষ্টার ৭ প্রস্তাব

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত আগস্ট ২৫, ২০২৫, ১৪:৫৪ অপরাহ্ণ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রধান উপদেষ্টার ৭ প্রস্তাব
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন থেকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে ৭ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন তিনি।

সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারের ‘হোটেল বে ওয়াচে’ রোহিঙ্গা সংকট সমাধান বিষয়ে শুরু হওয়া তিন দিনের অংশীজন সংলাপের মূল অধিবেশনে তিনি এ প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০১৭ সাল থেকে এবং তার আগেও সীমিত সম্পদ ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও মানবিক কারণে বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দিয়ে রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষা করেছিল। রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনের ভয়াবহ পরিকল্পনা প্রতিরোধ করা নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সরকার ও আরকান আর্মিকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যেন নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।

এ সময় রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ৭ দফা প্রস্তাব দেন ড. ইউনূস। তার ভাষায়, সমস্যা মিয়ানমারের তৈরি এবং এর সমাধানও সেখানে নিহিত।

নির্বাচন প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, দেশ এখন স্থিতিশীল এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, উখিয়ার ইনানীতে অবস্থিত ‘হোটেল বে ওয়াচে’ রোববার (২৪ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের ‘টেক অ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দপ্তর যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

প্রথম দিনে বিদেশি অংশীজনদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সরাসরি মতবিনিময় হয়। এতে যোগ দেন ৪০টি দেশের প্রতিনিধি। জাতিসংঘসহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করা সব অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।

তিন দিনের এ সংলাপ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বাস্তবসম্মত পথ খোঁজা হবে। সম্মেলনের শেষ দিনে (২৬ আগস্ট) বিদেশি অতিথিরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফান্ড, গণহত্যার বিচার, খাদ্য সহায়তা এবং রোহিঙ্গাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচিত হবে।

এছাড়া সম্মেলনের সুপারিশ ও প্রস্তাবগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ সরকার।