• ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘না’ ভোটসহ একগুচ্ছ সংশোধনী, আরপিও চূড়ান্তে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালো ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ
‘না’ ভোটসহ একগুচ্ছ সংশোধনী, আরপিও চূড়ান্তে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালো ইসি
সংবাদটি শেয়ার করুন....

কোথাও একক প্রার্থী থাকলে সেই আসনে ‘না’ ভোটসহ একগুচ্ছ সংশোধনী এনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ চূড়ান্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এই তথ্য জানান।

আখতার আহমেদ জানান, আইন মন্ত্রণালয় সংশোধনীগুলো খতিয়ে দেখবে। এরপর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

আরপিওতে আনা সংশোধনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সরকার ও ইসির মধ্যে মতবিরোধে ইসির চাহিদার প্রাধান্য, তফসিলের ৪৫ দিন আগেই প্রশাসন ও পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইসির অধীনে থাকা, নির্দেশনা অমান্যে সরকারি কর্মকর্তাদের গোপনীয় অনুবেদন ও শাস্তি দেবে ইসি।

এছাড়াও সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে, দুইজন প্রার্থী সর্বোচ্চ সমান ভোট পেলে লটারি প্রথা বাদ দিয়ে ফের ভোট, প্রার্থীদের জামানত বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা, ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকা, নির্বাচনি ব্যয় তদারকি কমিটি গঠন, দলের নির্বাচনি আয়-ব্যয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ, প্রতীক বরাদ্দের আগেই মামলার নিষ্পত্তি, হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে ভোটের পরেও ব্যবস্থা, মিথ্যা অভিযোগ প্রদানে মামলাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে।

গত ১১ আগস্ট ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেছিলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকছে না। এ সংক্রান্ত সব বিধান বিলুপ্ত করা হয়েছে। তবে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কোথাও একক প্রার্থী থাকলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে পারবেন না। ওই প্রার্থীকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হতে হবে। যদি ‘না’ ভোট বেশি হয়, তাহলে সেই আসনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেছিলেন, ফলাফল বাতিলের বিষয়ে ইসির ক্ষমতা পুনর্বহাল করা হয়েছে। ভোটে কোনও অনিয়ম হলে একটি, দুইটি কেন্দ্র অথবা পুরো আসনের ফল কমিশন চাইলে স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কার্যকরের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।