পঞ্চগড়ে চাঁদাবাজি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা মুখ দেখানোর মতো অবস্থায় থাকবে না বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে মতবিনিময় সভায় উল্লেখ করেছি, তেঁতুলিয়া উপজেলায় কিছু বিএনপির নেতাকর্মী নিয়মিত চাঁদাবাজিতে জড়িত। সাধারণ মানুষ তাদের ওপর অতিষ্ঠ। এতে তাদের এবং কিছু সুবিধাভোগী কর্মীদের মধ্যে জ্বালাপোড়া শুরু হয়েছে।
সারজিস আরও বলেন, “প্রথমবার শুধু সতর্ক করেছিলাম। এখন যদি এটি প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ নেন, তাহলে মুখ দেখানোর মত অবস্থা থাকবে কি না সেটা চিন্তা করে নেন। আপনারা যেসব অপকর্মে জড়িত এবং কত পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন, তা আপনারাও ভালো জানেন। তেঁতুলিয়ার সাধারণ মানুষ আরও ভালো জানে। প্রমাণ হাজির করলে তা শুধু তেঁতুলিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, পুরো বাংলাদেশ দেখবে।”
তিনি জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে পাথরের ট্রাকে চাঁদাবাজি, রাতের আঁধারে অবৈধ ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন, টেন্ডারবাজি এবং বিভিন্ন প্রজেক্ট থেকে জেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ কালেকশন—all প্রকাশ করা হবে।
সারজিস বলেন, “কে কাকে দিয়ে কি করায়, কার ডান হাত কে, বাম হাত কে, কার পরিবারের সদস্য কোন কাজে জড়িত, সব তথ্য প্রমাণ আছে। চোরের মায়ের বড় গলার দিন শেষ। সাধু সেজে নেতা হওয়ার মুখোশ খুলে দেওয়া হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।”