• ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছে শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড: মামুনুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ১৪:১০ অপরাহ্ণ
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছে শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড: মামুনুল হক
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আওয়ামী লীগের পরিচালিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার, শাপলা চত্বরে শহীদ হওয়া আলেম ও মাদ্রাসাছাত্রদের খোঁজখবরসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন দৈনিক যুগান্তরের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তোফায়েল গাজালি।

প্রশ্নে, “আপনি প্রায় বক্তব্যেই বলেন, ‘প্রয়োজনে আবার শাপলা চত্বরে যাব।’ শাপলা থেকে আপনারা পালিয়ে এসেছিলেন। সেখানে আবার যেতে চান কেন?” জবাবে মামুনুল হক বলেন, শাপলা চত্বর থেকে পালিয়ে আসার সঙ্গে আমি একমত নই। সেদিন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী গুলি ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালায়। গুলির মুখে সেখানে অবস্থান করা সম্ভব ছিল না। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, কেউ আহত হয়েছে, কারও চোখ নষ্ট হয়েছে, কারও অঙ্গহানি হয়েছে।

তিনি বলেন, এ হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অস্তিত্বে এমন কলঙ্কের দাগ লেগেছে যা শত-সহস্র বছরেও মুছবে না। বরং শাপলা চত্বরই বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছে। ২০১৩ সালের আন্দোলন ২০২৪ সালের জুলাইয়ের বিপ্লবকে সফল করেছে।

মামুনুল হক আরও বলেন, শাপলা আমাদের চেতনার বাতিঘর। যেমনভাবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বালাকোটের রণাঙ্গনে বাহ্যিকভাবে মনে হয়েছিল যে বীর যোদ্ধারা পরাস্ত হয়েছেন, কিন্তু সেই আত্মদান এবং শাহাদতের মাধ্যমে আন্দোলনের ভিত শক্ত হয় এবং ব্রিটিশরা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে নতুন একটি ‘বালাকোট’ তৈরি করেছে। শাপলা এখন চেতনার বাতিঘর। অন্যায়, জুলুম বা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এই চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে উজ্জীবিত থাকবে। তাই শাপলা শুধু একটি দিন বা ঘটনা নয়, এটি সাহস ও প্রতীকী ইতিহাসের প্রতীক।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, প্রকাশিত তালিকাটি হেফাজতের অনুমোদিত নয়, এটি কোনো ব্যক্তিগত খসড়া যা ভুলভাবে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে শহীদদের তালিকা তৈরিতে কাজ চলছে। অনেক শহীদের লাশ গুম বা নিরাপত্তার কারণে পরিবারের কাছে পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। যাদের পরিচয় নিশ্চিত, তাদের তথ্য দিয়ে ‘শহীদনামা’ গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। অনুসন্ধান এখনও চলমান।