‘মুনিয়ার ঘটনায় তৌহিদ আফ্রিদি রেহাই পেয়ে গেছে পিএম অফিসের জন্য’— এমন দাবি করেছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাহমিদ সামিন। তিনি জানান, এই কথাটি সরাসরি তাকে বলেছিলেন তৌহিদ আফ্রিদি নিজেই।
তাহমিদ সামিন বলেন, “আজকে তৌহিদ আফ্রিদি কিন্তু তৌহিদ আফ্রিদি হয়ে উঠতে পারত না, যদি না ডিবি প্রধান তাকে আশকারা দিত বা তার বাবা কিংবা প্রভাবশালীরা সাপোর্ট করত। এটা সত্যি যে মুনিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। এখান থেকেও সে রেহাই পেয়ে গেছে পিএম অফিসের জন্য।”
তিনি আরও বলেন, আফ্রিদি তাকে জানিয়েছিলেন, কল রেকর্ড দিয়েও তাকে ফাঁসানো যায়নি, কারণ পিএম অফিস তাকে সবদিক দিয়ে শেল্টার দিয়েছে। তার ভাষায়, “দেখ, প্রাইম মিনিস্টার অফিস আমাকে কত ভ্যালু দেয়।”
রবিবার (৩১ আগস্ট) দেশের এক বেসরকারি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তাহমিদ সামিন।
তিনি জানান, মুনিয়া মারা যাওয়ার সময়েই কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছিল। সেই রেকর্ডে স্পষ্ট ছিল তাদের সম্পর্কের বিষয়টি। তাহমিদ বলেন, “আমরা চাইনি তার ব্যক্তিগত বিষয় জিজ্ঞেস করতে। কিন্তু ওই সময়েই কল রেকর্ড ভাইরাল হয়। সে নিজেই আমাদের বলছিল যে, হ্যাঁ, ‘মুনিয়া আমার ভাত খেয়ে গেছে না কি খেয়ে গেছে’— এমন কিছু গাড়িতে বসে বলেছিল।”
তাহমিদ আরও বলেন, ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর গাড়িতে যাওয়া-আসার পথে আফ্রিদি নিজেই মুনিয়ার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তখনও বলেছিলেন, কল রেকর্ড দিয়েও তাকে ফাঁসানো সম্ভব হয়নি, কারণ পিএম অফিস তাকে রক্ষা করেছে।
তার ভাষায়, “এটাই সে বোঝাতে চাইছিল যে, প্রাইম মিনিস্টার অফিস তাকে অনেক ভ্যালু দেয়। দুই বছর আগের ঘটনা হলেও সে বলছিল, কল রেকর্ডিং তাকে ফাঁসাতে পারেনি। এপিএমও অফিস তাকে সবদিক দিয়ে শেল্টার দিয়েছে।”