• ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনার মামলায় ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

মানবতাবিরোধী অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ণ
হাসিনার মামলায় ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর ১৩তম দিনে তিনজন সাক্ষ্য দেন। তবে ৩৯তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া এসআই মো. আশরাফুল ইসলামের জেরা হয়নি। আজ তাকে জেরা করবেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। এরপর পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর মামলার ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং অজানা অনেক তথ্য প্রকাশ করেন।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৯ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের বর্ণনায় গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের চিত্র উঠে এসেছে। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা ও কামালসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এর আগে ১ সেপ্টেম্বর দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এদিন ছয়জন সাক্ষ্য দেন, যার মধ্যে চিকিৎসক, সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীও ছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজও সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগের পরিমাণ ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠায় সন্নিবেশিত। সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেয় চিফ প্রসিকিউটরের কাছে।