• ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ১২:১৯ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত প্যানেল এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করবেন।

এদিন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের শুরুতে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদকে জেরা করবেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। এরপর নতুন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হবে। এ মামলায় আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করেছে প্রসিকিউশন।

এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ট্রাইব্যুনালে জুনায়েদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে। তবে জেরা শেষ না হওয়ায় তা আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। মামলার ৪৮ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জুনায়েদ ২০১৩ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ দেন। একইদিন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের জেরাও সম্পন্ন হয়।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম। তাদের সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ান, তারেক আবদুল্লাহসহ অন্যরা।

এ মামলায় ইতোমধ্যেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে রাজসাক্ষী হয়ে জানান, শেখ হাসিনা ও কামালের নির্দেশেই জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। তিনি এজন্য ক্ষমা চান এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় চিকিৎসক, সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সাক্ষীদের বয়ানে উঠে এসেছে গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দেশব্যাপী হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতার চিত্র। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা শেখ হাসিনা, কামালসহ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে গণহত্যা, হত্যা ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে রয়েছে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার তথ্যসূত্র, চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার শহীদদের তালিকা। মামলায় সাক্ষী রয়েছেন মোট ৮১ জন। গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেয় চিফ প্রসিকিউটরের কাছে।