একটি সুস্থ দেহ একটি সুস্থ সমাজ আর মাদকমুক্ত সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন ফুটবলপ্রেমী মানুষ। তাঁর আমলে জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশের ফুটবলের অনেক উন্নতি হয়েছিলো। পরবর্তীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলেও ফুটবলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বাংলাদেশ।
গত (১২ সেপ্টেম্বর) বরিশাল সদর উপজেলার লামচরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীরউত্তম) শর্ট বার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক হুইপ ও মেয়র আলহাজ্ব এ্যাড. মোঃ মজিবর রহমান সরোয়ার এ কথা বলেন।
মজিবর রহমান সরোয়ার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন – বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়। সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান আরাফাত রহমান কোকো একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও সরাসরি রাজনীতির মাঠকে কর্মক্ষেত্র না করে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের খেলাধুলার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে খেলাধুলা শুধু শারীরিক ও মানসিক বিকাশের মাধ্যম নয়, বরং এটি তরুণ সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাঁর শাসনামলে দেশে ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয় এবং বিভিন্ন নীতি ও উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে খেলাধুলাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার চেষ্টা করা হয়। শহীদ জিয়ার ক্রীড়াক্ষেত্রে নেওয়া পদক্ষেপ ও দৃষ্টিভঙ্গি আজও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। তাঁর নেতৃত্বে গৃহীত নীতিমালা ও কর্মকৌশল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও পিতার দেখানো পথে হাঁটছেন। কিন্তু বিগত পতিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশ থেকে খেলাধুলার সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিপুল সংখ্যক জনগণ খেলার মাঠে উপস্থিত হন। পুরস্কার বিতরণ শেষে বেশ কয়েকটি বিএনপি কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন দক্ষিণাঞ্চল বিএনপির অভিভাবক আলহাজ্ব এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ার।