
এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের টানা ১০ দিনের অবস্থান কর্মসূচি ও আন্দোলনের পর অর্থ মন্ত্রণালয় দুই ধাপে ১৫% বাড়িভাড়া প্রদানের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তবে এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (২১ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব বলেন, এবারের শিক্ষক আন্দোলন পূর্বের তুলনায় আরও স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। কিন্তু আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় নিপীড়িত শিক্ষকদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এতে কেবল আংশিক দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত ক্ষুদ্র। এর ফলে আসন্ন পে স্কেলে বৈষম্য আরও বেড়ে যাবে। সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে যারা মফস্বলে অবস্থান করেন তারা বাড়িভাড়া পান ৪৫%। গত ১৩ আগস্ট রাজধানীর প্রেস ক্লাবে শিক্ষকদের মহাসমাবেশে সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা, শ্রান্তিভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫% উৎসব বোনাসের দাবি জানানো হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে ওই দিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় শিক্ষক নেতারা প্রস্তাব করেন, অন্তত ২০% বাড়িভাড়া প্রদান করলে শিক্ষকদের শান্ত করা সম্ভব হবে। সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বেই এমন প্রস্তাব ছিল দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার শামিল। প্রতি বার শিক্ষকরা রাজপথে এসে প্রত্যাশাহীনভাবে ফিরে যাওয়া শুধু কষ্টেরই নয়, সংক্ষুব্ধকরও বটে।
সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫% উৎসব বোনাসের প্রজ্ঞাপন নতুন করে জারি করার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।