
এক বছরে আমি প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন শিখেছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর পাঁচ দিন পর, ১৩ আগস্ট, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান একটি বিদেশি বার্তা সংস্থার বাংলাদেশ প্রধান শফিকুল আলম।
বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্বের এক বছর পূর্ণ করলেন শফিকুল আলম। এ যাত্রাকে ‘চমৎকার’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি নিজের অভিজ্ঞতা ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন।
শফিকুল আলম লিখেছেন, এটি ছিল এক অসাধারণ যাত্রা—একটি বিদেশি বার্তা সংস্থার প্রধান থেকে প্রতিদিনের আলোচনার কেন্দ্রে আসা পর্যন্ত। গত এক বছরে আমি প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখেছি। একইসঙ্গে শূন্য থেকে এই পদটির দায়িত্ব ও কাঠামো তৈরি করতে হয়েছে, কারণ আগে এটি মূলত আনুষ্ঠানিক ছিল, বাস্তব কোনো দায়িত্ব ছিল না।
তিনি বলেন, “আমি কি ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করেছি? আমার বিশ্বাস, করেছি—যদিও কিছু বন্ধু ভিন্নমত পোষণ করেন। তা ঠিক আছে; আমি তাদের মতামতকে সম্মান করি। আমি চাইতাম আরও ভালো করতে। আমার ভুলগুলো বেশিরভাগই সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে ছিল।”
তিনি উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী, সন্তান ও ভাইবোনদের জন্য এ বছরটি ছিল কঠিন। কিছু বন্ধু হারিয়েছেন—এর মধ্যে সাংবাদিক সমাজের বন্ধুরাও আছে। কিছু তরুণ সাংবাদিক প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন, তবে তিনি কিছু ঘুরিয়ে বলেন না, সাদা মানে সাদা, কালো মানে কালো বলেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে পাওয়া কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তরের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন, যেমন—হাসিনাকে ডাস্টবিনে ফেলা, বামপন্থীদের বনসাই মন্তব্য, মেয়াদ শেষে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা, বিদেশে রাজনৈতিক আক্রমণ, সরকারি মুখপাত্র নাকি প্রেস সচিব ইত্যাদি বিষয়ে তার বক্তব্য।
তিনি আরও জানান, এই দায়িত্ব শেষে সাংবাদিকতায় ফিরে যেতে চান। সরকারের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়নে তিনি “এ++” দিয়েছেন এবং দলকে “অগ্রদূত” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অবজারভারে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে শফিকুল আলমের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয়। সাড়ে ৭ বছর ক্রীড়া সাংবাদিকতার পর ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসে বাণিজ্য সাংবাদিকতা শুরু করেন। আড়াই বছর সেখানে কাজ করার পর ২০০৫ সালে এএফপিতে যোগ দেন এবং পরে ঢাকার ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।