• ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান, দূষণরোধে কঠোর পদক্ষেপ চায় বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১৪:৫৭ অপরাহ্ণ
গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান, দূষণরোধে কঠোর পদক্ষেপ চায় বাংলাদেশ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

প্রস্তাবিত ‘গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির’ সবশেষ খসড়া দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে প্লাস্টিক দূষণরোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে বুধবার (১৩ আগস্ট) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত প্লাস্টিক দূষণবিষয়ক আন্তসরকারি আলোচনাসভার (আইএনসি ৫.২) দ্বিতীয় পর্বে এই অবস্থান জানানো হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতে, খসড়াটি দুর্বল ও অপর্যাপ্ত। কারণ এতে সরবরাহপক্ষীয় পদক্ষেপ বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্লাস্টিকের পূর্ণ জীবনচক্র, স্বাস্থ্যগত প্রভাব, ক্ষতিকর রাসায়নিক, বর্জ্যব্যবস্থার অগ্রাধিকার ও আন্তসীমান্ত দূষণরোধে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত নয়। অন্যদিকে কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য নির্ভরযোগ্য উপায়ের কথাও বলা নেই। বরং জটিল ও স্বেচ্ছাসেবী পদ্ধতির ওপর নির্ভর করা হয়েছে, যা বৈশ্বিক সংকটের গুরুত্ব উপেক্ষা করে।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জোর দিয়ে বলেছে, চুক্তির মূল অংশে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিক, নিঃসরণ ও প্রাথমিক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এ খসড়া মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় কার্যত কিছুই করে না। এটি কেবল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাঠামো, যা উৎপাদকদের দায়মুক্ত রাখে। এবং সবচেয়ে ক্ষতিকর প্লাস্টিক পণ্য বন্ধে কোনো বাধ্যতামূলক পদক্ষেপের দিকনির্দেশনা দেয় না। অর্থবহ সংশোধন ছাড়া খসড়াটি সমর্থনযোগ্য নয় বলে বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে।

বুধবার আরেক অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারত্ব ও লক্ষ্যভিত্তিক সম্পদের আহ্বান জানান।

জেনেভায় অনুষ্ঠিত আইএনসি ৫.২-এর মন্ত্রীপর্যায়ের এক অনানুষ্ঠানিক গোলটেবিল বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিম্নপ্রবাহী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন। আন্ত:সীমান্ত প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বৈশ্বিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি সার্কুলার অর্থনীতি মডেল প্রচার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর বন্ধ, টেকসই পণ্যের নকশা উন্নয়ন এবং বর্জ্য খাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যায়সঙ্গত রূপান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পরিবেশ ও স্বাস্থ্য উভয় ক্ষেত্রেই প্লাস্টিক দূষণের প্রভাব তুলে ধরে তিনি ক্ষতিকর প্লাস্টিক পর্যায়ক্রমে বন্ধে প্রাতিষ্ঠানিক বৈশ্বিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উচ্চাভিলাষী ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।