
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আইবিআরপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শরীফ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন দৈনিক ভোরকে বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলের পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলার ডিপিপি লুন্ঠন কারীদের সহায়ক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে, এ অঞ্চলের অপ্রয়োজনীয় স্কিম বাদ দিয়ে বৈষম্যের রোহিত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আইবিআরপি প্রকল্পটি দক্ষিণ অঞ্চলের গ্রামীণ পর্যায়ে যোগাযোগের জন্য আয়রন ব্রিজ নির্মাণ ও বাস্তবায়নে ২০১৯-২২ সালের জুন পর্যন্ত ১৮৩৫.৭ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি একনেক থেকে অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে ২৩৩৪ টাকা ব্যয় প্রথম সংশোধনী ২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি এবং পরবর্তীতে ২৭৭৩.৪ টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় সংশোধনী ২৬ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। দ্বিতীয় সংশোধনীর তথ্য সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ অঞ্চলের ৬ জেলা ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরিশাল বরগুনা ও ভোলা জেলায় ব্যাপক অনিয়ম ও বৈষম্য রয়েছে। পিরোজপুর জেলায় ১৮৫টি, ঝালকাঠি জেলায় ৯১টি,পটুয়াখালী জেলায় ৮টি,বরিশাল জেলায় ১৬টি, বরগুনা জেলায় ৭টি ও ভোলা জেলায় ১টি করে স্কিম রয়েছে। প্রকল্প পরিচালক বলেন, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলায় অপ্রয়োজনীয় স্থানে স্কিম দেয়া হয়েছে। তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা প্রভাব খাটিয়ে এই দুই জেলায় ব্যক্তির স্বার্থে স্কিমগুলো ডিপিবির অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা কোন গ্রহণযোগ্য নয়। তবে রাষ্ট্র ও জনস্বার্থে তৃতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে সমবন্টন নীতিমালার ভিত্তিতে অন্যান্য জেলায় প্রয়োজনীয় স্থানে স্কিম বরাদ্দ ও অনুমোদন দেওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল মনে করেন।