
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি (কালীপূজা) উপলক্ষে ভারতে সরকারি ছুটি থাকায় আগামী মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বেনাপোল কাস্টম হাউজ ও বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে, পাশাপাশি পাসপোর্টযাত্রী পারাপারও অব্যাহত থাকবে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে পুনরায় চালু হবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান রবিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দীপাবলি উপলক্ষে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সোমবার বিকাল থেকেই সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে তারা চিঠির মাধ্যমে বেনাপোল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে। তবে ওইদিন দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম বলেন, “ভারতে কালীপূজার ছুটির কারণে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টযাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। ভারতগামী ও আগত যাত্রীরা নিয়মিতভাবে পারাপার করতে পারবেন।”
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, “দীপাবলি উপলক্ষে মঙ্গলবার কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। তবে বন্দর ও কাস্টমসের অন্যান্য কাজ স্বাভাবিক থাকবে। ভারত থেকে খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার জন্য কার্গো শাখা খোলা থাকবে।”
দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত থেকে আমদানিকৃত মোট পণ্যের প্রায় ৯০ শতাংশই আসে এই বন্দর দিয়ে। মাত্র সাত দিনের এলসিতে পণ্য আমদানি করা যায় বেনাপোলের মাধ্যমে। কলকাতা থেকে বেনাপোলের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার হওয়ায় আমদানিকারকরা এই পথকে সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত মনে করেন।
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলে এর প্রভাব পড়ে উভয় দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে। বন্দর এলাকায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকে যায়, যার মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, গার্মেন্টস সামগ্রী ও পচনশীল পণ্যও থাকে। অন্যদিকে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য এবং মাছ।
উল্লেখ্য, এর আগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।