• ৩১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেতন কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১৭:২০ অপরাহ্ণ
বেতন কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সাক্ষাৎ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বেতন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। আজ বুধবার বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বেতন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধি দল বৈষম্যহীন নবম পে স্কেল প্রদান, সরকারি কর্মচারী হিসেবে ন্যূনতম জীবনমান বজায় রেখে জীবনধারণের জন্য বিভিন্ন ভাতা যৌক্তিক হারে নির্ধারণসহ সরকারি কর্মচারীদের নানা দাবি পে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করে। প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আশফাকুল আশেকীন, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আবু সাঈদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দারোদোমুয়াজ আশু, নির্বাহী সদস্য ফেরদৌস আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরিষদের দাবিসমূহ প্রস্তাব আকারে পে কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—১:৫ অনুপাতে সর্বনিম্ন ৩০,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১,৫০,০০০ টাকা মূল বেতন নির্ধারণ, বার্ষিক ১০% হারে বেতন বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা ৬,০০০ টাকা, মূল বেতনের ৯০% হারে বাড়ি ভাড়া, গ্রেড সংখ্যা ২০ থেকে কমিয়ে ১৫ নির্ধারণ, সার্ভিস বেনিফিট বহাল রাখা, যাতায়াত ভাতা ৪,০০০ টাকা, টিফিন/লাঞ্চ ভাতা দৈনিক ২০০ টাকা, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনরায় চালু এবং রেশন সুবিধা পুনঃপ্রবর্তনসহ মোট ১৫টি দাবি। বিষয়টি নিশ্চিত করে সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম বলেন, পে কমিশন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের উপস্থাপিত দাবি ও বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং দাবিসমূহ যৌক্তিক বলে মত প্রকাশ করেন। কমিশনের সদস্যরা দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এসব দাবি আমলে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের প্রথম সারির যে কয়টি কর্মচারী সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায়ে কাজ করছে, তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ। বৈষম্যহীন পে স্কেল বাস্তবায়নে আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই সরকার পে কমিশন গঠন করেছে। দ্রুত সময়ে নতুন পে স্কেল ঘোষণার লক্ষ্যে কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সভাপতি জিয়াউল হক বলেন, আমরা আশাবাদী যে পে কমিশন সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক দাবিসমূহ বিবেচনায় নিয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই বৈষম্যহীন নবম পে স্কেল ঘোষণা করবে। তিনি আরও জানান, এই পে স্কেল হবে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ম্যাগনাকার্টা স্বরূপ, যার মাধ্যমে তারা দীর্ঘদিনের বৈষম্য, হতাশা ও অভাব থেকে মুক্তি পাবে।