মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জ্জামান ঘোষণা করেছেন যে, আজকের পর থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ৫৩ নং ওয়ার্ড, তারারটেক এলাকায় কোনো ধরনের মাদক বেচাকেনা চলবে না — তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন।
আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) ইং পবিত্র জুমার নামাজের পরে তুরাগের তারারটেক মসজিদে স্থানীয় জনসাধারণ ও মুসল্লিদের সঙ্গে এক অভিযোগমুক্ত আলোচনা ও প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এসব বক্তব্য বলেন।
হাজী মোস্তফা জ্জামান আরো বলেন, মাদক ব্যবসা ও মাদকাসক্তদের কারণে সৃষ্ট চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, দখলবাজি, ছিনতাইসহ অন্য অসামাজিক কার্যকলাপ তারারটেকে আর toler করা হবে না। যারা এই অপরাধে লিপ্ত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে; তাদেরকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হবে এবং প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহায়তাও নেওয়া হবে।
বক্তার এই কঠোর বক্তব্যে বিএনপি নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী একমত পোষণ করে জানান, তুরাগের তারারটেক এলাকায় মাদকের বেচাকেনা আর চলতে দেওয়া হবে না — সভায় অংশগ্রহণকারীরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের পক্ষপুষ্টি করেন।
অঞ্চলের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ সময় ধরে তারারটেক, ডিয়াবাড়ী, নলভোগ, চন্ডালভোগ, কামারপাড়া, রানাভোলা, ফুলবাড়িয়া, নয়ানগরসহ তুরাগের বিভিন্ন এলাকায় গোপন এবং নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবসা, মাদকাসক্তদের ভিড় ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরাও প্রভাবিত হচ্ছেন এবং যুবসমাজ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে — তাই এসব বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।
ডিএমপির তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমি আজ থেকে তারারটেক এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করছি। যারাই থাকুক—এই ক্ষেত্রে কাউকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে চিরুনি অভিযান চালানো হবে।”
কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সুরুজ্জামান বলেন, “মাদক একটি জাতির মূল শিকড়কে নষ্ট করে দেয়। প্রশাসন দ্রুত মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনুক।” তিনি আরো যোগ করেন, “যদি সমাজ থেকে মাদক নির্মূল না করা যায়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।”
তারেরটেক মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া মিছিল প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিয়াবাড়িতে সমাপ্ত হয়। সমাবেশ শেষে শত শত মুসল্লি, স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন পেশার মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল— “মাদক ও নেশা জাতীয় অপকর্ম থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে মুসল্লিদের উদ্যোগে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল।” বিক্ষোভে উচ্চকিত শ্লোগান ছিল— “মাদকমুক্ত সমাজ চাই, যুব সমাজকে বাঁচাতে হবে।”
আলোচনা ও প্রতিবাদ সভায় তুরাগ থানার বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: হারুন-রশীদ খোকা, বিএনপি নেতা মো: আলী আহমেদ, বিএনপি নেতা মো: রিপন মিয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তুরাগ মধ্য থানার আমীর গাজী মনির হোসেন, তুরাগ মধ্য থানা মজলিসের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্যগণ এবং ঢাকা-১৮ আসনের ৫৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সুরুজ্জামান সহ অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।