রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি অপসারণের বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশনা দপ্তর কিংবা মিশনে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।
রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, সরকারি দপ্তরে পোট্রেট ব্যবহারের বিষয়ে শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার নিরুৎসাহিত করছে। অলিখিতভাবে জিরো পোট্রেট নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এরপরও কেউ কেউ নিজ দায়িত্বে সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি ব্যবহার করেছেন।
আজাদ মজুমদার আরও লিখেছেন, সেগুলো সরাতে হবে—এমন কোনো লিখিত নির্দেশনা কোনো দপ্তর কিংবা মিশনে দেওয়া হয়নি। তারপরও বিষয়টি নিয়ে বাজার গরম করা হচ্ছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর রাজনীতি নিয়ে জট পাকানোর সুযোগ কমে আসছে। তাই অনেক ছোটখাটো বিষয়কেও বড় করে তোলা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর মৌখিক নির্দেশ পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার (১৬ আগস্ট) রাত থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি মন্ত্রণালয়।
মৌখিক নির্দেশ পাওয়ার পর বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি নামানো হয়। তবে এর কারণ কী, তা সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার ভিত্তিতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো হয়েছে। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ নিয়ে কোনো লিখিত নির্দেশনা জারি করেনি।
