• ১০ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্টারলিংকের ‘ডাইরেক্ট-টু-সেল’ প্রযুক্তি: যোগাযোগে নতুন দিগন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৮, ২০২৫, ২২:০৩ অপরাহ্ণ
স্টারলিংকের ‘ডাইরেক্ট-টু-সেল’ প্রযুক্তি: যোগাযোগে নতুন দিগন্ত
সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছেন, স্টারলিংকের অত্যাধুনিক ‘ডাইরেক্ট-টু-সেল’ স্যাটেলাইট সেবার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই তথ্য জানান।

স্টারলিংকের এই নতুন প্রযুক্তি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। ‘ডাইরেক্ট-টু-সেল’ সেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সরাসরি স্যাটেলাইটের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন, যা দুর্গম পাহাড়ি এলাকা, গভীর বন বা মাঝ সমুদ্র থেকেও সহজে কল করা, টেক্সট পাঠানো এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব করবে। এই সেবার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, গ্রাহকদের নতুন কোনো ফোন বা বাড়তি হার্ডওয়্যার কেনার প্রয়োজন হবে না। বর্তমান স্মার্টফোন দিয়েই সরাসরি স্যাটেলাইটের সুবিধা উপভোগ করা যাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্যোগের সময় এই প্রযুক্তি যোগাযোগের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ভূমিকম্প, বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো পরিস্থিতিতে যখন প্রচলিত মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যর্থ হয়, তখন ‘ডাইরেক্ট-টু-সেল’ সেবা মানুষের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্টারলিংকের নতুন প্রজন্মের স্যাটেলাইট ২ জিবিপিএস পর্যন্ত ইন্টারনেট গতি সরবরাহ করতে সক্ষম। এর ফলে গ্রামীণ এবং দুর্গম এলাকাগুলোতেও দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হবে। শহরাঞ্চলেও এর প্রভাব পড়বে, যেখানে আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

স্পেসএক্স ইতোমধ্যে ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে ‘ডাইরেক্ট-টু-সেল’ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ শুরু করেছে। ভবিষ্যতে স্টারশিপ রকেটের মাধ্যমে আরও স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হবে। এই স্যাটেলাইটগুলো লেজার ব্যাকহলের মাধ্যমে স্টারলিংক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী দ্রুত, নিরবচ্ছিন্ন এবং সাশ্রয়ী মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা পাওয়া যাবে।

বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থায় স্টারলিংকের এই পদক্ষেপ এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।