অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গত ৪ আগস্ট ২০২৫-২৬ কর বছরের জন্য অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর পর থেকে বুধবার (১৩ আগস্ট) পর্যন্ত প্রথম ১০ দিনে ৯৬ হাজার ৯৪৫ জন করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর অনলাইন রিটার্ন দাখিল শুরুর প্রথম ১০ দিনে ২০ হাজার ৫২৩ জন করদাতা অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। সে হিসাবে এ বছরের ই-রিটার্ন দাখিলের দৈনিক গড় সংখ্যা গত বছরের দৈনিক গড় সংখ্যার প্রায় ৫ গুন। বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কোনো করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলে সমর্থ না হলে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনারের নিকট সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতাসহ আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত বা যুগ্মকর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে তিনি পেপার রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
এনবিআর জানিয়েছে, করদাতাগণ ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা অন্য যেকোনো মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন, তাৎক্ষণিকভাবে নিজেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-রিটার্ন দাখিলের অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ প্রিন্ট নিতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখপূর্বক স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয়কর সনদ প্রিন্ট করতে পারেন।
ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা প্রদানের জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টার স্থাপন করেছে। কল সেন্টারের ০৯৬৪৩৭১৭১৭১ নম্বরে ফোন করে করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত প্রশ্নের তাৎক্ষণিক টেলিফোনিক সমাধান পাচ্ছেন। এছাড়া ওয়েবসাইটের ই-ট্যাক্স সার্ভিস অপশন থেকে করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা লিখিতভাবে জানাতে পারবেন এবং সমাধান পাবেন।
এনবিআর বলছে, সম্মানিত ব্যক্তি করদাতাদের যথাসময়ে পোর্টাল ব্যবহার করে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বিনীত অনুরোধ করা যাচ্ছে।