মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামীকাল ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার বিরুদ্ধে যে ট্রায়াল হয়েছে, তার রায় হবে। এ নিয়ে দেশে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। একটি মহল এটিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে আবার নৈরাজ্য তৈরির পাঁয়তারা করছে। তিনি বলেন, আমাদের এখন রুখে দাঁড়াতে হবে। ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন অপচয় না হয় এবং গণতন্ত্র উত্তরণের পথ আরও সুগম করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন, ঐক্যের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হই এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য সামনে রেখে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই। মওলানা ভাসানীর আদর্শ সামনে রেখে আমরা যেন প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকলের সমর্থনে এসেছে এবং রাজনৈতিক কাঠামোকে স্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছে।
কিন্তু জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ—তা বলার সময় এখনো আসেনি। আমরা বারবার বলেছি, নির্বাচনই একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে ট্রানজিশন টু ডেমোক্রেসি সম্ভব এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হতে পারে। বহু বিভ্রান্তি, হতাশা ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও এখন ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, কিছু মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে অনিশ্চয়তা তৈরি করতে চায় এবং বিভিন্ন দাবি তুলে নির্বাচন ব্যাহত বা বিলম্বিত করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষের এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন—একটি নির্বাচিত সরকার, যার পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে। তাই সকল রাজনৈতিক দলকে তিনি আহ্বান জানান, বিলম্ব না করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়ে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ তৈরি করতে। তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং নির্বাচিত সরকার না থাকলে তা আরও খারাপ হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও খারাপ হচ্ছে, নির্বাচিত সরকার না থাকলে সেটিও আরও খারাপ হবে।