• ১৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সংবাদটি ভিত্তিহীন: প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ১৯:৪৯ অপরাহ্ণ
রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সংবাদটি ভিত্তিহীন: প্রেস সচিব
সংবাদটি শেয়ার করুন....

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও তার বোন হোসনা সিদ্দিকীকে ঘিরে প্রচারিত সংবাদকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন।

তিনি জানান, কোনো সূত্র ছাড়াই কল্পনার ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে—অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উল্লিখিত তিনজনকে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠাতে চায়। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, তাদের কথিত ‘রাষ্ট্রদূত হওয়ার খায়েশ’ পূরণ করতে গিয়ে ‘পেশাদার কূটনীতিকদের বলি দিতে হচ্ছে’।

প্রেস সচিব বলেন, সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতি, দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্বহীন সেই প্রতিবেদনে রাষ্ট্রদূতের মর্যাদাপূর্ণ পদকে ‘মাখন খাওয়া’ এবং কল্পিত নিয়োগকে ‘গাছেরটা খেয়ে তলারটা কুড়ানো’র মতো অবমাননাকর উপমায় তুলনা করা হয়েছে—যা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য অপমানজনক এবং নিন্দনীয়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ ধরনের ভাষা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ। এ বিষয়ে লামিয়া মোর্শেদ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ করলে মানবজমিন দাবি করে—তারা সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রাথমিক আলোচনার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করেছে; যদিও সেই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তিনি বলেন, দায়িত্বশীল কোনো সংবাদমাধ্যম এমন অবমাননাকর ভাষায় অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে—এমনটি কল্পনাও করা যায় না। মানবজমিন এভাবে নিজেদের তৃতীয় সারির সংবাদমাধ্যমের মানে নামিয়ে এনেছে এবং যথারীতি কোনো দুঃখপ্রকাশও করেনি।

শফিকুল আলম জানান, আমরা মানবজমিনকে ওই মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করে আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনার আহ্বান জানাচ্ছি।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ জানিয়েছেন, তিনি কূটনৈতিক পেশায় যেতে চান না। বর্তমানে যে অবস্থানে আছেন, সেখানেই থাকতে চান।

তিনি বলেন, এমন কোনো ইচ্ছা তার নেই; এবং কারা এ ধরনের কথা ছড়াচ্ছে, তা তিনি জানেন না। তিনি জানান, ৩১ বছর আগে ইউনূস সেন্টারে যোগ দিয়ে প্রফেসর ইউনূসের আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। দেশের স্বার্থে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন—যা দেশেরও উপকারে এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দেওয়ার পরও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন; নির্ধারিত সময়ের বাইরে সরকারি পদে থাকতে তার কোনো ইচ্ছা নেই।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী এবং তার বোন হুসনা সিদ্দিকীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এমনকি ঢাবির ভিসিকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের বিষয়ে কোপেনহেগেনের অনুমতি চেয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠিও পাঠানো হয়েছে।