ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ায় পুলিশ ফাঁড়ির পাশে ৩২ বছর বয়সী এক নারী পালাক্রমে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের পর ওই নারীকে জিম্মি করে তার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৩১ হাজার টাকা আদায় এবং একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়।
এই ঘটনায় শনিবার (২ আগস্ট) ভুক্তভোগী নারী ডেমরা থানায় অজ্ঞাত চারজন পুরুষ ও প্রতারক হিসেবে পরিচিত সুমি ওরফে সিমা (২২) নামে এক যুবতীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সূত্রপাত ১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) মিরপুর থেকে অনলাইনে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে ডেকে আনা হয় এবং তাকে গণধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তরা বর্তমানে পলাতক।
ঘটনার পর শনিবার রাতে পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠায়।
ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান জানান, পূর্ব পরিচিত সিমা ভুক্তভোগী নারীকে ফোন করে অনলাইনে একটি কাজের প্রস্তাব দেন। এরপর ১ আগস্ট দুপুরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে তাকে স্টাফ কোয়ার্টারে যেতে বলেন। বিকালে সেখানে পৌঁছালে তাকে হোটেলে খাবার খাওয়ানো হয়। পরে কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির কাছে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে আগে থেকেই তিনজন পুরুষ অপেক্ষা করছিল, যাদের বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে।
ওসি আরও বলেন, সেখানে তাকে জানানো হয় কাজের অংশ হিসেবে একটি শর্ট ভিডিওতে ধর্ষণের অভিনয় করতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি মাথার চুল এলোমেলো করেন, কিন্তু এরপরই চারজন মিলে তার হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই বর্বরতা চলে।
ধর্ষণের পর তার ও তার মায়ের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৩১ হাজার টাকা আদায় এবং ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাকে রাতেই বাসা থেকে বের করে দেয় এবং বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়।
ওসি আরও জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।