
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তিনি বলেন, সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো দেড় দশক ধরে একটি লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে—সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। ইসি সংবিধান থেকে ক্ষমতা পেয়েছে, তাই মাথানত করার কোনো কারণ নেই। শক্ত থাকুন।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে অংশ নিয়ে তিনি আরও বলেন, এ ধরনের মতবিনিময় নতুন কিছু নয়। আগের আলোচনাগুলোকে সফল বা ব্যর্থ—কোনোভাবেই এককভাবে বলা যাবে না। তবে সংলাপের এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাই।
প্রার্থীদের করণীয় প্রসঙ্গে ড. মঈন খান বলেন, রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মূল দায়িত্ব হলো নিয়মকানুন মেনে নির্বাচন করা। আচরণবিধি মানতেই হবে—এ নিয়ে কোনো ভিন্নমত নেই।
তবে তফসিল নিয়ে তিনি কঠোর অবস্থান দেখছেন না বলে মত দেন। তার ভাষায়, তফসিলের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা পরামর্শ দিয়েছি, কিন্তু সবকিছুর প্রতিফলন পাইনি।
নিয়মনীতি প্রণয়নের প্রসঙ্গে তিনি ভিন্নমত তুলে ধরে বলেন, যতই অঙ্গীকারনামা নেওয়া হোক, নিজেদের সংশোধন না করলে তা কোনো কাজে আসবে না। শাস্তির বিধান স্পষ্ট না থাকলে নীতিনির্ধারণ কার্যকর হবে না। বরং বেশি নীতিমালা তৈরি করলে লঙ্ঘনের প্রবণতাই বাড়বে।
এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এবং অপতথ্যের উত্থানকে বর্তমান যুগের বাকস্বাধীনতার নতুন দিগন্ত হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কথা বলার স্বাধীনতা যখন দেওয়া হয়েছে, অপব্যবহারের সম্ভাবনাও থেকেই যাবে।
তার মতে, দেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, আর এই সময়ে ইসির ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাই বিদ্যমান লোকবলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
একই সঙ্গে ইসির নিজস্ব লোকবল থেকেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা হন, তাহলে দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তন আসবে।