• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে ২১ মুসলিম দেশের জোরালো অবস্থান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত জুন ১৭, ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ
মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে ২১ মুসলিম দেশের জোরালো অবস্থান
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে একজোট হয়েছে মুসলিম বিশ্বের ২১টি দেশ। মিসরের নেতৃত্বে গঠিত এই জোট সম্প্রতি ইসরায়েলের ইরানে সামরিক আগ্রাসনের কড়া নিন্দা জানিয়ে পুরো অঞ্চলকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, এই জোট ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে বাছাই ছাড়া সবাইকেই নিরস্ত্রীকরণের আওতায় আনতে হবে। এর মাধ্যমে তারা স্পষ্টতই ইসরায়েলকেও পরমাণু অস্ত্র ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ বার্তা:
এই ২১টি দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “অবিলম্বে সংঘাত প্রশমিত করতে এবং একটি সমন্বিত, দায়িত্বশীল উদ্যোগ নিতে হবে—অন্যথায় এই উত্তেজনা গোটা অঞ্চলকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।”

তারা আরও উল্লেখ করে, মধ্যপ্রাচ্যকে একটি পরমাণু অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। সেই লক্ষ্যে অঞ্চলটির সব দেশকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (NPT)-তে স্বাক্ষর করতে হবে।

এই বিবৃতিতে অংশ নেওয়া দেশগুলো:
আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, চাদ, কোমোরোস, জিবুতি, মিসর, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এই পদক্ষেপ মুসলিম বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় একটি বড় ধরনের কূটনৈতিক প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর মতো হামলা বন্ধ না হলে আন্তর্জাতিক মহলকে আরও জোরালোভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

পটভূমি:
১২ জুন গভীর রাতে ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি ঘটে। এরপর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এখন পর্যন্ত উভয় দেশের পক্ষ থেকে কোনও শান্তিপূর্ণ সমাধান কিংবা আনুষ্ঠানিক আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।