বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পৃথক দুই মামলায় দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিদের অনুপস্থিতিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ট্রাইব্যুনালের বিচারক রফিকুল ইসলাম এই দুই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উজিরপুর উপজেলার দক্ষিণ মাদারসী গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে সোহেল সরদার এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণকাঠী গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু গাজীর ছেলে হৃদয় গাজী। সোহেল যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রীকে এবং হৃদয় ধর্ষণের পর গৃহবধূকে হত্যা মামলার আসামি।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী অজিবর রহমান মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, উজিরপুরের মাদারসী গ্রামের বাসিন্দা সুমির সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মারধর করে আসছিল আসামি সোহেল। ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আসামি এবং তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে সুমির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা নাসরিন সুলতানা বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর থানার এসআই আলতাফ হোসেন একমাত্র সোহেলকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। আট জনের সাক্ষ্য শেষে বিচারক ওই রায় ঘোষণা করেন।
বেঞ্চ সহকারী আরও জানান, বাকেরগঞ্জের কৃষ্ণকাঠী গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০১১ সালের ১৫ জুলাই নিহতের ভাই ফিরোজ হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ থানার এসআই আফজাল হোসেন দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর একমাত্র হৃদয় গাজীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করেন। ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক ওই রায় ঘোষণা করেন।