
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরাপত্তা কর্মী না থাকায় চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা এখন চরম নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন। একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা সত্ত্বেও বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে নাইট গার্ড বা নিরাপত্তা কর্মীর পদ শূন্য। ফলে হাসপাতালের বিশাল এলাকা সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। রাতের বেলায় হাসপাতালের দেয়াল টপকে বহিরাগতদের অবাধে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুযোগ বুঝে কিছু অসাধু ব্যক্তিরা হাসপাতালের প্রাঙ্গণে মাদক সেবন ও আড্ডার স্থান তৈরি করেছে, যা দিন দিন রূপ নিচ্ছে মাদকের আখড়ায়।
অন্যদিকে, হাসপাতালে কর্মরত নার্সদের বাসভবনে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি একাধিক নার্সের বাসা থেকে মোবাইল ফোন, অলংকার ও ব্যক্তিগত সামগ্রী চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নার্সরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টি বারবার উপজেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে জানানো হলেও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং হাসপাতালের পরিবেশও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ রাহাত হোসেন বলেন, নিরাপত্তা কর্মী না থাকায় আমরা অনেক সমস্যায় পড়েছি। বারবার জানানো হলেও এখনো পদটি শূন্য আছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, এভাবে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় হাসপাতাল পরিচালনা করা চিকিৎসা সেবার মান ও জননিরাপত্তা — উভয়ের জন্যই হুমকি। তারা দ্রুত নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ ও মাদকচক্র উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ দাবি করেছেন।