• ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত নভেম্বর ২২, ২০২৫, ১৪:০৯ অপরাহ্ণ
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
সংবাদটি শেয়ার করুন....

গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়েছে নরসিংদীসহ সারাদেশ। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মানুষের মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাটেনি; প্রতিনিয়ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে পুরো জেলা কেঁপে ওঠে। বিশেষ করে উৎপত্তিস্থল হিসেবে চিহ্নিত পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। এসময় ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনের একটি ট্রান্সফর্মারে আগুন ধরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং অন্য ট্রান্সফরমারগুলোর বেশিরভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সরেজমিনে পলাশ ও মাধবদী এলাকায় দেখা যায়, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন উচ্চ স্থাপনা। পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের আঙিনায় মাটি বসে গেছে এবং প্রধান ফটকের সামনের একটি টিনশেড ঘরের ভিটা ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে। ঘোড়াশাল ডেইরি ফার্মের ভেতরে মাটিতে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে, যেখানে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত ফাঁক তৈরি হয়েছে। এছাড়া ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লাগার পাশাপাশি নরসিংদী শহর, মাধবদী, পলাশ ও ঘোড়াশালে একাধিক ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের সময় ঘর থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে নরসিংদী শহরের গাবতলী এলাকায় ছয়তলা নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়, এসময় মেয়ে তাসফিয়াও আহত হন। নরসিংদী জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসকদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভূমিকম্পে নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।