এ উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ১০টায় বনানী কবরস্থানের কবর জিয়ারতের আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর ১৮৪ মধ্যবাসাবো মরহুমের পুত্রের বাসভবনে বাদ মাগরিব দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মরহুমের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার বনমালিদিয়া মাজার মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ফরিদপুর-২ থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রথম স্বাধীণ বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে এবং ছাত্রজনতার সমন্বয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন।
এছাড়া ১৮ মার্চ ১৯৭১ নিজ এলাকা বোয়ালমারী ডাকবাংলোর সামনে বিশাল জনসমাবেশে জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে স্বাধীণ বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের পক্ষে ভারতের কল্যাণীস্থ বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধ ক্যাম্প তত্বাবধান করেন এবং রাজনৈতিক প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে গণপরিষদ সদস্য হিসাবে বাংলাদেশের সংবিধাণ প্রণয়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের মূল সংবিধানে স্বাক্ষর প্রদান করেন।
১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ফরিদপুর-৩ আসন (বর্তমান ফরিদপুর-১) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাপে যোগদান করে সংসদে ন্যাপের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৭৪ সালে মুসলিম রাষ্ট্রসংস্থা ওআইসি’তে বাংলাদেশকে অন্তঃর্ভূক্তকরণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আগ্রহে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দূল হামিদ খান ভাসানী ও ব্যারিস্টার সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন বিশেষ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন।
উল্লেখ তিনি ১৯৮৩ সালের ২৪ মে এইদিনে পিজি হাসপাতালে সাধারণ ওয়ার্ডে ইন্তেকাল করেন। ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয় ।