• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পল্লী অঞ্চলের সাথে উপজেলা ও জেলার যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে আধুনিক নগরের সুবিধা সম্প্রসারণ এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি এই প্রকল্পের লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত মে ২৪, ২০২৫, ২০:৪৭ অপরাহ্ণ
পল্লী অঞ্চলের সাথে উপজেলা ও জেলার যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে আধুনিক নগরের সুবিধা সম্প্রসারণ এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি এই প্রকল্পের লক্ষ্য
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মোহাম্মদ রুহুল আমিন খান, প্রকল্প পরিচালক, অগ্রাধিকার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অব কাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প- ৩

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অগ্রাধিকার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন খান দৈনিক ভোরের সাথে আলোচনায় বলেন, প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলের সাথে নিকটবর্তী গ্রোথ সেন্টার, স্বাস্থ্য কেন্দ্র,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান সহ উপজেলা, জেলার যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলের আধুনিক নগর সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ এবং স্বল্প দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এই প্রকল্পের লক্ষ্য। প্রকল্প পরিচালক বলেন, জিওবির অর্থায়নে ৬৫২৬৫৫.০০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মেয়াদকাল জুলাই ২০২০ ইং হইতে জুন ২০২৬ ইং পর্যন্ত প্রকল্পটি সমগ্র দেশের গ্রামীণ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১১২.৯১ কি:মি: উপজেলা সড়ক, ৬২০.২০কি:মি: ইউনিয়ন সড়ক, ৫৪৭২.২৭কি:মি: গ্রামীণ সড়ক, ৫৯৫.৭৭কি:মি: গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এবং ১০৬৬৬.৭৩ মি: গ্রামীণ সড়কের অবকাঠামো নির্মাণের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯০%। তিনি আরো বলেন,এ কাজের বিপরীতে অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টিও যথেষ্ট সন্তোষজনক। তবে করোনা কালীন সময়ে চলমান কাজ থমকে যাওয়া এবং অর্থ বরাদ্দের স্বল্পতার কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিলম্বিত হয়। পরবর্তীতে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের ঠিকাদাররা পালিয়ে যায়, এতে কিছুটা উন্নয়ন কাজের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেও বর্তমানে তা সচল রয়েছে। গ্রামীণ অর্থ সামাজিক উন্নয়নসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধা এ প্রকল্প সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া কাজের গুণগত মান নিশ্চিতকরণে জেলা পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন খান আরো বলেন,নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়ার পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ ইং জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আরো এক বছর সময় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা হতে পারে।