স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী অবকাঠামো পূর্ণবাসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল হাসান বলেছেন, সড়ক অবকাঠামো মেরামত ও পূর্ণবাসনের মাধ্যমে কৃষি, অকৃষি খাতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং টেকসই সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এর মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় ও সময় সাশ্রয় করে বিভিন্ন পণ্যাদির বাজারজাত ব্যবস্থা সহজীকরণ এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯০৫.৩৭৩৪ কোটি টাকা। সরকার ১৭-১১-২০২০ ইং তারিখে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়। ঢাকা,খুলনা,চট্টগ্রাম,সিলেট বরিশাল,রংপুর,রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৫ টি জেলা এবং ৩৫৫ টি উপজেলা এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে গ্রামীণ সড়ক ৬২৪০৫০ কিলোমিটার, ব্রিজ পুর্নবাসন ও পূর্ণনির্মাণ ৪৭৫৫ মিটার,কালভার্ট পূর্ণবাসন ও পূর্ণনির্মাণ ৮০৪ মিটার,বৃক্ষরোপণ.ভেটিবার- ৩২৮ কিলোমিটার কার্যাদি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বর্তমানে এ প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত ভৌত অগ্রগতি ৫৮.১৪% ও প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৫১.৪৪%। প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত সর্বমোট অর্থ ব্যয় হয়েছে ৩০৩৮.১৫৩৮ কোটি টাকা।

একনেক সভা কর্তৃক ১৭-১১-২০২০ ইং তারিখে প্রকল্পটি অনুমোদিত হলেও তাহা ২ মেয়াদে ৩১-১২- ২০২৬ ইং সাল পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক বলেন, বাস্তবতার নিরিখে ভৌগলিক অবস্থা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাজের অগ্রগতিতে ব্যাহত হয়েছে। অন্যদিকে অর্থ ছাড়ের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত অর্থ ছাড় দিতে হবে। ৫ই আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা চলে আসে।
অনেক জেলার ঠিকাদার পালিয়ে গেছেন, বর্তমানে এর অবস্থা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে। এজন্য বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পের এই কর্মকাণ্ড সমাপ্ত করা সম্ভব নয়।
সে ক্ষেত্রে প্রকল্পের সময় বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে। তিনি আরো বলেন, প্রকল্প পরিচালক হিসেবে আমি প্রতিটি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে প্রকল্পের গৃহীত স্কিম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত জুম মিটিং চালিয়ে যাচ্ছি ও জরুরি প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং পরামর্শ দেয়ার বিষয়টি whatsapp গ্রুপের মাধ্যমে অব্যাহত রেখেছি।
প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল হাসান বলেন, কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ২০ টিমের সদস্যগণ এবং স্থানীয়ভাবে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী দপ্তর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দপ্তর হতে স্কিম সমূহের বাস্তবায়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করা হয়। এছাড়া প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর থেকেও পরিদর্শন টিম কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। যদি বাস্তবায়িত কাজে কোন ত্রুটি পরিলক্ষিত হয় তাহলে স্থানীয় ল্যাবরেটরি দ্বারা পরীক্ষা পূর্বক ভুল ত্রুটি সংশোধনের মাধ্যমে কাজের গুনগুত মান নিশ্চিত করা হয়।