• ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদে ১,৫০০ কোটি টাকার বিক্রির আশা চট্টগ্রামের টেরিবাজারের ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত মার্চ ২৩, ২০২৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ
ঈদে ১,৫০০ কোটি টাকার বিক্রির আশা চট্টগ্রামের টেরিবাজারের ব্যবসায়ীদের
সংবাদটি শেয়ার করুন....

উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে চট্টগ্রামে থান কাপড় বিক্রির জন্য বিখ্যাত শত বছরের পুরোনো টেরিবাজারে। থান কাপড়ের পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিতি এ বাজার। শুধু থান নয়, এখন মিলছে সব ধরনের প্রয়োজনীয় কাপড়। গত এক দশকে টেরিবাজারে গড়ে উঠেছে অর্ধ শতাধিক মার্কেট। যেখানে মিলছে নারী-পুরুষ ও শিশুদের যাবতীয় পোশাক। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা। ক্রেতার ভিড়ে ব্যবসায়ীদের যেন এখানে দম ফেলার ফুরসত নেই। এবার টেরিবাজারে অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার বিক্রির আশা করছেন ব্যসায়ী সমিতির নেতারা।

এ বাজারে পাইকারি কাপড়ের পাশাপাশি রয়েছে খুচরায় বিক্রির প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে আছে অর্ধশতাধিক শপিং মল। রোজার শুরু থেকে এ বাজার যেন উৎসবে রূপ নিয়েছে। প্রতিটি দোকান সাজানো হয়েছে বাহারি পোশাকে। দেশি-বিদেশি নিত্য নতুন ডিজাইনের শাড়ি, থ্রি-পিচ, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, সালোয়ার কামিজ, গহনা, জুতা, কসমেটিকসসহ সব ধরনের পোশাক ও প্রসাধনী সামগ্রীতে ঠাসা এই বাজার। বিশেষ করে নারীদের জন্য ফ্যাশনেবল শাড়ি, থ্রি-পিস এবং বাহারি ডিজাইনের পোশাকের চাহিদা এখানে বেশি। চীন, ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা সিকোয়েন্স পাঞ্জাবি, লিনেন, জামদানি, সুতি, শিফন ও প্রিন্ট কাপড়ের পাশাপাশি দেশি মানের পোশাকও পাওয়া যাচ্ছে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেরিবাজারে গত এক দশকে প্রায় অর্ধশতাধিক শপিং মার্কেট গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মাসুম ক্লথ স্টোর, বঁধুয়া শপিং, চিটাগাং শাড়ি হাউজ, মেগামার্ট, সানা ফ্যাশন, রাজস্থান, রাজপরী, জারা শপ, আলিশা, জাবেদ ক্লথ স্টোর, বৈঠক বাজার, ভাসাবি, মনে রেখ, শাহ আমানত, পরশমনি, শিরমনি, রাঙ্গুলি, ফেমাস, হারুন অ্যান্ড ব্রাদার্স, মল টুয়েন্টি ফোর, মোহাম্মদীয়া, হ্যালো ফ্যাশন, গোল আহমদ, নিউ রাজস্থান, মৌচাক, আলমগীর, বাগদাদ অ্যাম্পোরিয়াম, নিউ আজমি ইত্যাদি বেশ পরিচিত।

টেরিবাজারে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা কাশবি আক্তার বলেন, ‘এখানকার কিছু মার্কেটে একসঙ্গে সব প্রয়োজনীয় কাপড় পাওয়া যায়। এ কারণে কেনাকাটা করতে এসেছি। দাম ঠিক আছে।’

টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শবে বরাতের পর থেকে টেরিবাজারে এবার বেচাকেনা জমে উঠেছে। এ বাজারে ৯০টি ছোট-বড় মার্কেট আছে। এসব মার্কেটে দুই হাজারের বেশি দোকান আছে। যার মধ্যে ৯০ শতাংশ দোকানই কাপড়ের। এবার অন্তত এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার বিক্রির টার্গেট রয়েছে। রোজার শুরু থেকে এখানে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই আছে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এবার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’