শনিবার বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক ওলামায়ে কেরাম মামুনুল হকের হাতে সদস্যফরম জমা দিয়ে দলে যোগ দেন
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে রাজনীতি হবে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব বা ষড়যন্ত্র কখনই বরদাস্ত করা হবে না। জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থানের যেকোনো চেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে হবে।
তিনি আরও জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে সেই শক্তিগুলো আবার সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাবে। পরাজিত পক্ষ তাই নানা পথে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে চলেছে। আমরা আবারও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করছি—জাতীয় নির্বাচনের আগে স্বতন্ত্র দিনে গণভোট আয়োজন করে ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিন।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফীর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক ওলামায়ে কেরামের যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক আরও বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এদেশে পূর্ণাঙ্গ খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে দেশের মানুষের সমর্থনে নিকট ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। এই উদ্দেশ্যেই সংগঠনের প্রতিটি পদক্ষেপ পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, যে বা যারা এই লক্ষ্যের প্রতি সমর্থন জানাবেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস তাদের সাথে নিয়েই আগামী নির্বাচনে আসনভিত্তিক সমঝোতায় যেতে চায়।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিকশা প্রতীকের প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণের পাশে থেকে জনগণের ভাষায় কাজ করলেই ইসলামী রাজনীতির স্বপ্ন বাস্তবায়ন সহজ হবে, ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে মামুনুল হকের হাতে সদস্যফরম জমা দিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে যোগ দেন নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফী, মুফতী জুনায়েদ বিন মিজান, মুফতী ইকবাল মাহমুদ, মাওলানা তাওহীদ আল-মাআরেফী, মাওলানা গোলাম রব্বানী, মাওলানা শাহাদত হোসাইনসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরও বহু ওলামায়ে কেরাম।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতী আলাউদ্দিন সাবেরী, মাওলানা ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
