এক যুগের পুরনো কমিটি দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মালয়েশিয়া যুবদল। ২০১২ সালে ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল মালয়েশিয়া শাখা কমিটি ঘোষনা করা হয়। সেই কমিটির অধিকাংশ সদস্য কর্মজীবন শেষ করে দেশে ফিরে গেছেন , অনেকে মালয়েশিয়ায় থাকলেও রাজনীতিতে নিস্ক্রিয়। সেই কমিটির বেশ ক’জন শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে মারা গেছেন । বর্তমানে ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ১২/১৪ জন সদস্য সক্রিয়। বিশেষ দিবসে অনুষ্ঠান উদযাপনের মধ্য দিয়ে জানান দেয় তাদের অস্তিত্ব !
সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ২০১৭ দেশে ফিরেন এবং তিনি রাজনীতিতে নিস্ক্রিয়, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন সাগর ২০১৯ সালে স্থায়ী ভাবে দেশে ফিরে গেছেন। সভাপতি জাহাংগীর আলম দীর্ঘদিন দেশে, মুন্সীগঞ্জ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন । মাঝে মাঝে ভ্রমন ভিসায় মালয়েশিয়া আসেন। ২০১২ সালে সভাপতি ঘোষনার প্রায় ছয়মাস পর মালয়েশিয়া এসে দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নেন তিনি ।
২০১৯ সালের পর ভগ্নপ্রায় যুবদল নিস্ক্রিয় হয়ে পড়লে বিএনপির মালয়েশিয়ার সভাপতি ইঞ্জিঃ বাদলুর রহমান খান ও সাঃসম্পাদক মোসাররফ হোসেন যুবদলের নতুন কমিটি করার জন্য যুবদলের সভাপতিকে উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন। তবে সে নির্দেশনা আর আলোর মুখ দেখেনি।
২০২১ সালে নিরব-টুকু কমিটি থাকাকালিন সময় সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু মালয়েশিয়া যুবদলের নতুন কমিটি দেয়ার জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত হন। টুকু বিএনপি মালয়েশিয়ার সভাপতি ও সাঃ সম্পাদক এর সাথে যুবদলের পুর্নাংগ কমিটি দেয়ার জন্য যোগাযোগ অব্যহত রাখলেও পরে আর কমিটি দেয়া হয় নাই।
দীর্ঘদিন কমিটি না থাকাই মালয়েশিয়া যুবদল নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়েছে। যুবদলকে প্রবাসীদের মাঝে শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে হলে অতিদ্রুত কমিটি দেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।
মালয়েশিয়া যুবদলের নেতা কর্মীরা বলছেন, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে বিশেষ করে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে মালয়েশিয়া যুবদল বাংলাদেশের হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে তাদের যোগ্যতা দক্ষতা ও ভূমিকার ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে যেন অবিলম্বে একটি সুন্দর কমিটি উপহার দেওয়া হয় এই প্রত্যাশা তাদের।
উল্লেখ, সভাপতি জাহাংগীর আলম ভিসা না থাকায় অবৈধভাবে মালয়েশিয়া ছিলেন। তিনি দলীয় কর্ম-পরিচালনা করতে পারতেন না।