মো: হোসাইন আলী মীর, নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি,পটুয়াখালী

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পটুয়াখালী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হোসাইন আলী মীর দৈনিক ভোরের সাথে আলোচনায় বলেন ,শত প্রতিকূলতার মধ্যেও কাজের গুণগতমান রক্ষা করে কর্তৃপক্ষের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় পটুয়াখালী জেলায় উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। তিনি ২০১৮-২০২৪ সালের অর্থ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের পরিসংখ্যানে বলেন, উপজেলা সড়ক উন্নয়ন-৩৬,৪৩০ কিলোমিটারে ৫১০০. ২০ লক্ষ টাকা, ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন ১৬১.৬৭০ কিলোমিটারে ১৯৪০০.৪০ লক্ষ টাকা, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন ৫১৩,৪২০ কিলোমিটারে ৫৩৯০৯.১০ লক্ষ টাকা, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ১০৪১.৪২০ কিলোমিটারে ৩১২৫০.৪০ লক্ষ টাকা, সেতু/কালভার্ট নির্মাণ ২৮১৬.১২০ মিটারে ১২৬৭ ১২৬৭২.৫৪ লক্ষ টাকা, পাকা সড়কে ব্রিজ/কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ ৮৩৮.০০০ মিটারে ১২৫৭.০০ লক্ষ টাকা, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ৩ টিতে ২০২৫.০০ লক্ষ টাকা, গ্রোথ সেন্টার, সেবা হাট-বাজার ১২ টিতে ১২০.০০ লক্ষ টাকা, সাইক্লোন সেন্টার ৩৬ টিতে ২১৯০০.০০ লক্ষ টাকা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাদ নির্মাণ /সংস্কার ৩৭.৬১ কিলোমিটারে ২৮২.০৭৫ লক্ষ টাকা, বন্যা ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে রেগুলেটর নির্মাণ /সংস্কার ২৮ টিতে ৪২০০.০০ লক্ষ টাকা, খাল খনন ১৪৭.৭৫০ কিলোমিটারে ১০৩৪.২৫ লক্ষ টাকা, পুকুর খনন ১৭২টিতে ৮৬০.০০ লক্ষ টাকা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স দুই টিতে ৬০০.০০ লক্ষ টাকা, ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ ১৬ টিতে ২১৬০.০০ লক্ষ টাকা, সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ৩৪৫ টিতে ১৩৮০.০০ লক্ষ টাকা, পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি- ৩ ও এল সি এস মহিলা কর্মী ১০১৫ জনে ১৮২.৭০ লক্ষ টাকা, সামগ্রিক উল্লেখিত বিগত অর্থবছর গুলোতে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ১৫৮৩৩৩.৬৭ লক্ষ টাকা। পটুয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আরো বলেন, অত্র জেলায় কিছু স্কীমের অগ্রগতি ৫ই আগস্ট ২০২৪ এর পরে ঠিকাদার অন্যত্র চলে যাওয়ার কারণে বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এবং কিছু কাজ মন্থর অগ্রগতি হয়েছে যা বর্তমানে অন্য ঠিকাদারদের মাধ্যমে চলমান রয়েছে। এছাড়া কিছু কাজ ঠিকাদার না থাকায় তাহার ব্যাংক জটিলতার কারণে বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে,যাহা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে ।বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়া পদা ভেঙে যায় এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে এলজিইডি কর্তৃক উন্নয়নকৃত অনেক সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাহা গ্রামীণ সড়ক কালভার্ট ও সেতু মেরামত ও সংরক্ষণের আওতায় মেরামত করা অসম্ভব। উক্ত সড়কগুলো মেরামত ও সংরক্ষণের জন্য একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।

যা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিবেচনায় নেবেন বলে প্রত্যাশা করছি। এছাড়া এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছি।