স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের বদলি জনিত গুঞ্জন উঠেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলার নির্বাহী প্রকৌশল অধিদপ্তর ও অন্যান্য উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী সহ কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মধ্যে নানা ধরনের হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া জেলার ঠিকাদার, সাংবাদিক ও স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মধুপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, টাঙ্গাইল জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আগস্ট মাসের ১ তারিখে এ জেলায় যোগদান করেন,৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সরকার পরিবর্তন হওয়ায় তৎকালীন সময়ে দেশের সর্বত্র ছিল বিশৃঙ্খল পরিবেশ। বিপ্লবী ছাত্র জনতা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলার এলজিইডিতে ঢুকলে নির্বাহী প্রকৌশলী অত্যন্ত সুকৌশলে ও আলাপ আলোচনার মধ্যে একটি অনিবার্য সংঘাত থেকে রক্ষা করেন এবং তার নেতৃত্ব ও কৌশলী কর্মকাণ্ডের কারণে এলজিইডি টাঙ্গাইল জেলার উন্নয়নসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইয়ানূর এন্টারপ্রাইজের মালিক মাসুদ কবির বলেন, আমি দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই জেলায় ঠিকাদারি কাজ করি ।বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী যোগদানের পর থেকে জেলার উন্নয়ন কর্মকান্ডের গতি বেড়েছে। তার জোরালো মনিটরিং, পরিদর্শন ও ঠিকাদারদের যেকোনো সমস্যা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেওয়া আমাদেরকে উৎসাহিত করেছে। ইতিমধ্যে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী, সুশীল সমাজ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আস্থা অর্জন করেছেন। সম্প্রতি এ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলি জনিত বিষয় নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে,বিষয়টি সকলের নজরে এলে তাদের মধ্যে হতাশার প্রতিচ্ছবি দৃশ্যমান। স্থানীয়দের মতে, পূর্ববর্তী নির্বাহী প্রকৌশলীদের মনিটরিং এর দুর্বলতার কারণে সার্বিক কর্মকান্ডের গতি ছিল মন্থর। কিন্তু বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের জোরালো মরিটারিং ও নেতৃত্বের কারণে সামগ্রিক কর্মকান্ডের গতি ফিরে এসেছে। এ সময়ে তার বদলি হলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা সৃষ্টি হতে পারে। তারা মনে করেন, যে কোন নির্বাহী প্রকৌশলীকে মিনিমাম ২ থেকে ৩ বছর সময় দেয়া প্রয়োজন।