অভিযোগকারী জেসমিন ( ৪০) আগৈলজারা থানার বাগদা গ্রামের বাসিন্দা অভিযোগ পত্রে ১নং সাক্ষী ও ২ নং সাক্ষী তার দুই মেয়ে ১ নং সাক্ষী সোনিয়া খানম(২০) এর সাথে অভিযুক্ত এক নং বিবাদীর সাথে ২ মাস ১৫ দিন পূর্বে বিবাহ হয় ২ নং সাক্ষী রানিয়া বেগমের সাথে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে ১ নং বিবাদী এই ঘটনা ঘটে অভিযোগকারী জেসমিন এর বসত গৃহে। ১ নং বিবাদী রিপন হাওলাদার (৩৫ )পিতা: খোকন হাওলাদার, সাং: হারতা থানা :উজিরপুর অভিযোগকারী জেসমিনের মেয়ের সাথে ২ মাস ১৫দিন পূর্বে বিবাহ হয় বিবাহের তিনদিন পরে রিপন হাওলাদার অভিযোগকারী জেসমিনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন এবং তার বিবাহিত স্ত্রীকে ঘুমের ঔষধ সেবন করায়ে ২ নং সাক্ষী রানিয়া বেগমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে তার ডাক চিৎকারে ঘরের সবাই দৌড়ে আসে তখন রিপন হাওলাদার সেখান থেকে চলে যায়। কিছুদিন পরে পুনরায় জেসমিনের বাড়িতে অর্থাৎ শ্বশুর বাড়ি আসে রিপন হাওলাদার ১১/৬/২০২৫ ইং তারিখ পুনরায় তাহার স্ত্রী ১ নং সাক্ষীকে ৫টি ঘুমের ঔষধ সেবন করায়ে ২ নং সাক্ষী রানিয়া বেগমকে তার ওরনা দিয়ে মুখ আটকিয়ে জোরপূর্বক আবারো ধর্ষণ চেষ্টা করে, তখন তার মুখ গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে ঘরের লোকজন দৌড়ে আসে তখন রিপন হাওলাদার পালিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ২নং বিবাদী আহসান খান আপাং সহ অন্যান্য বিবাদীরা অভিযোগকারী জেসমিনের বাড়িতে আসে এবং বিষয়টি নিয়ে বাগ-বিতণ্ডা শুরু করে এবং এক পর্যায়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে, জেসমিনের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফুলা ফাটা যখম হয়, গ্রামের অন্যান্য লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে এবং অভিযোগকারী জেসমিন কে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানো হয়। ২ নং বিবাদী আহসান খান আপাং বাগদা ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক সূত্রে জানা যায় আহসান খান আপাং বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করে আসছে। উক্ত ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আহসান খান আপাং রিপনের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নেন আগৈলঝাড়া থানার এসআই মামুন উক্ত ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা রিপনের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করেন। সূত্রে আরও জানা যায় আহসান খান আপাং থানার সাথে আতাত করে। আহসান খান আপাং বাগদা বাজার নিবাসী জুয়েল ও তার প্রবাসী ভাইয়ের বাগদা খেয়া ঘাটে থাকা দুটি দোকান বন্ধ করে দেয় এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। জুয়েলের পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা গ্রহণ করে দোকানটি খুলে দেন, ভুক্তভুগী অভিযোগকারী জেসমিন জানান এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরা সত্য ঘটনার বিচার পাবো না, অভিযোগকারী জেসমিন আরো বলেন থানায় আমাদের মামলা এফ আই আর করেননি ঘটনার সত্যতা আছে সাক্ষী আছে, আমি এই জঘন্য কর্মকান্ডের বিচার দাবি করছি প্রশাসনের কাছে ,কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি দিন।